২০২২ সালের জুনে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) জানিয়ে দিয়েছিল ইয়ান মরগান আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলবেন না। ছয় মাস পর েএবার মরগান নিজেই জানিয়ে দিলেন ‘বিদায় আন্তর্জাতিক’ ক্রিকেট। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড হেরে যাওয়ার পর মরগানের হাতে দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকেই নিজের আক্রমণাত্মক খেলার ধরন বদলে দেয় ইংল্যান্ড দলকে। দলকে নিয়ে যান এক নতুন উচ্চতায়।
মরগানের নেতৃত্বে ২০১৯ সালে এক দিনের ক্রিকেটে বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করে ইংল্যান্ড। এছাড়া টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে ফরম্যাটে ইংল্যান্ড দলকে নিয়ে এক নম্বরে। মরগানের নেতৃত্বে বিশ্বের প্রায় সব বড় দলকেই হারিয়েছে ইংল্যান্ড। তার নেতৃত্বে খেলা ম্যাচগুলো মধ্যে দল জিতেছে ৬০ শতাংশ ম্যাচ।
ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার আগে আয়ারল্যান্ডের হয়েও খেলেছেন মরগান। ওয়ানডে ক্রিকেটে আয়ারল্যান্ডের হয়ে মরগানের ২০০৬ সালে অভিষেক হয়েছিল। তবে ২০০৯ সাল থেকে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা শুরু করেন মরগান।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে ১৬টি টেস্ট খেলেছেন মরগান। যেখানে ব্যাট হাতে তার রানের সংখ্যা ৭০০ রান। দু’টি শতরান রয়েছে তার। আর ওয়ানডে ক্রিকেটে ২৪৮টি ম্যাচ খেলা মরগানের সংগ্রহ ৭৭০১ রান। যেখানে রয়েছে ১৪টি শতরানের ইনিংস। দেশের হয়ে ১১৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মরগনের রান সংখ্যা ২৪৫৮।
শুধু ইংল্যান্ড নয়, আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মরগান। সর্বশেষ আইপিএল দল পাননি তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে ক্রিকেটে নিজের ফর্মও ফিরে পাচ্ছিলেন না মরগান। বাংলাদেশ সফরে ইংল্যান্ডের ঘোষিত দলের মরগানের জায়গা হয়নি।
মরগানের অবসর ঘোষণায় ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ কর্তা রব কি বলেন, “মরগানের মতো বড় মাপের ক্রিকেটার এবং অধিনায়ক খেলাটাই পাল্টে দিয়েছিলেন। একটা প্রজন্মকেই পাল্টে দিয়েছেন তিনি। পরের প্রজন্ম কিভাবে খেলবে সেটার উপরেও প্রভাব রয়েছে মরগানের। একই সাথে আগামী দিনেও ইংল্যান্ড ক্রিকেটে মরগানের প্রভাব থাকবে।”
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস