বাংলাদেশের অন্যতম সফল কোচ বলতেই চলে আসে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের নাম। বড় দলগুলোর বিপক্ষে জয়ের অভ্যস গড়ে উঠেছে এই হাথুরুসিংহের হাত ধরেই। অথচ বাংলাদেশ থেকে তার চলে যাওয়াটা মোটেই সুখকর ছিল না। বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার পর হাথুরুসিংহেও ভালো অবস্থানে নেই। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আবারও সেই হাথুরুসিংহের উপর আস্থা রেখেছে।
পাঁচ বছর পর নিজের পুরনো দলের কোচ হিসাবে ফিরছেন এই শ্রীলংকান। দায়িত্ব পাওয়ার পর হাথুরুসিংহে জানালেন, আবার বাংলাদেশের কোচ হওয়া তার জন্য সম্মানের।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে আসন্ন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হবে ৫৪ বছর বয়সী হাথুরুর দ্বিতীয় মেয়াদের পথচলা। আবার বাংলাদেশে আসা নিয়ে তিনি বলেন, “আরও একবার বাংলাদেশ জাতীয় দলকে কোচিং করাতে পারার সুযোগ পাওয়াটা আমার জন্য সম্মানের।"
প্রধান কোচের জন্য বিসিবি যাদের সঙ্গেই যোগাযোগ করেছেন তাদের সবাই পার্ট টাইম হিসাবে কাজ করতে চেয়েছেন। শুধু হাথুরুসিংহেই পূর্ণকালীন সময় দিতে রাজি হয়েছেন। বিসিবি সভাপতির সাবেক পছন্দের কোচ এবং সময় দিতে চাওয়ায় রাজি হয়েছে বোর্ড। তবে আবারও বাংলাদেশের সাফল্য দেখতে মুখিয়ে আছেন হাথুরুসিংহে।
তিনি বলেন, “ যখনই বাংলাদেশে এসেছি, তখনই এখানকার মানুষদের উষ্ণতা ও সংস্কৃতি ভালো লেগেছে। খেলোয়াড়দের সঙ্গে আবারও কাজ করতে মুখিয়ে আছি। একই সঙ্গে তাদের সাফল্য উপভোগ করতে চাই।"
২০১৪ সালের জুনে প্রথমবার প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশে আসেন হাথুরুসিংহে। তিন বছরের বেশি সময় তিনি সাকিব-মাশরাফিদের সঙ্গে কাজ করেছেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে থাকতে পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়া নিয়ে বিসিবির মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
তিনি নিজেদের দেশের বোর্ডের প্রস্তাবে সাড়া দেন। হাথুরুসিংহে চলে যাওয়ার পর বিসিবি আরও দু'জন কোচ নিয়ে দিয়েছেন- স্টিভ রোডস ও রাসেল ডমিঙ্গোকে। এদের মাঝে আবার খালেদ মাহমুদ সুজন ও কোর্টনি ওয়ালশ অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পালন করেন। অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রধান হিসাবে কাজ করেন শ্রীধরন শ্রীরাম।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম