টানা ব্যর্থতার পর অবশেষে ফিফটির দেখা পেলেন সৌম্য সরকার। বাকিদের ব্যর্থতার পরও এই ইনিংসটাই ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দিল। সৌম্যর ৫৭ রানের পর ঢাকা ডমিনেটর্স অলআউট মাত্র ১০৮ রানে। এই রান তাড়া করতে নেমেও লক্ষ্যে পৌছাতে পারেনি খুলনা টাইগার্স। মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলে দিনের প্রথম ম্যাচটি বিশাল স্কোরের পর হল জমজমাট লড়াই।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচ হল কে কত কম রানে অলআউট হতে পারে সেই প্রতিযোগিতা। ১০৯ রান তাড়ায় খুলনা মাত্র ৮৪ রানে অলআউট হল। তারা হেরেছে ২৪ রানে।
আট ম্যাচে ঢাকার এটি দ্বিতীয় জয়। দুই ম্যাচ কম খেলা খুলনার এটি পঞ্চম হার। দু’দলই সমান চার পয়েন্ট। হেরেও ঢাকার আগে পঞ্চম স্থানে রয়েছে খুলনা। চার পয়েন্ট নিয়ে সবার তলানীতে অবশ্য চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সমান সাত ম্যাচে ১২ পয়েণ্ট সিলেটের, ১০ পয়েণ্ট ফরচুন বরিশালের ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পয়েন্ট আট। ছয় পয়েণ্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রংপুর রাইডার্স।
এই ম্যাচে আগে সৌম্যর এবারের বিপিএলের ইনিংসগুলো ছিল ১৬, ৬, ৪, ০, ০, ১৬ ও ৩ রান। তাকে একাদশে নেওয়া নিয়েও হচ্ছে সমালোচনা। মঙ্গলবার জ্বলে উঠলেন মিরপুরে ৪৫ বলে ছয় চার ও দুই ছক্কায় খেললেন ৫৭ রানের দরুন এক ইনিংস। তবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান যে এসেছে অতিরিক্ত থেকে।
নাহিদুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে অসহায় হয়ে পড়ে ঢাকা। নাহিদুল চার ওভারে দুই মেডেনে মাত্র ছয় রান দিয়ে নিয়েছেন চার উইকেট। নাসুম ১১ রানে নেন তিনটি উইকেট।
ছোট লক্ষ্যে নেমে কঠিন সমীকরণ বানিয়ে ফেলে খুলনার ব্যাটাররা। তামিম ইকবাল (৩০) ও ইয়াসির আলী (২১) ছাড়া আর কেউই দুই অংকের ঘরে পৌছাতে পারেননি। শেষে দাপট দেখিয়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। মাত্র নয় রানে চার উইকেট নিয়ে শেষের নায়ক ঢাকার এই পেসার। দুটি করে উইকেট রয়েছে নাসির ও আল-আমিনের।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম