ক্রিকেট হোক কিংবা অন্য খেলার খেলোয়াড়রই হোক না কেন, প্রসংশার সঙ্গে কখনও কখনও সমালোচনার তীরেও বিদ্ধ হতে হয় তাদের। অস্ট্রেলিয়া টি ২০ বিশ্বকাপে তেমনই দুয়োধ্বণী শুনতে হয়েছিল নাজমুল হোসেন শান্তকে। নির্বাচকরা তাকে দলে নেওয়ায় চারিদিকে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেই ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তার পরিবারের সদস্যরা। পরিবার ভুক্তোভুগি হলে সেটাই খারাপ লাগে নাজমুল হোসেনের।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৮৯* রানের ইনিংস খেলে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে জিতিয়েছেন শান্ত। হয়েছেন ম্যাচসেরাও।
সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমার জন্য যতটা না কঠিন...তার থেকে বেশি কঠিন আমার পরিবারের জন্য। সত্যি বলতে, আমি যেভাবে বুঝি আমার পরিবারের সদস্যরা কিন্তু সেভাবে বোঝে না। তারা কষ্ট পায়। তাদের খারাপ লাগে।”
টি ২০ বিশ্বকাপের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) নাজমুলের ব্যাট হাসছেই। তবে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমের সমালোচনা পরিবারকে কষ্ট দেয় বলেই জানালেন, এই ডানহাতি ব্যাটার। তিনি বলেন, “পরিবারের অবস্থা দেখে আমার মাঝে মাঝে কষ্ট লেগেছে। এটা আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। অনেকে না জেনে, অনেকে না বুঝে হয়তো কথা বলে ফেলে।”
তিনি বলেন, “দলের পরিকল্পনা, আমার পরিকল্পনা কিংবা আমি কতোটা পরিশ্রম করি সেটা অনেক কিছুই বলে দেয়। এটা বললে, সেটা বলাই হবে শুধু। আসলে এগুলো যারযার চিন্তা। আমি খারাপ খেললে অবশ্যই সমালোচনা হতে পারে। তবে এটা ভালোভাবে হতে পারতো। যেটা আমার পরিবারের জন্যও ভালো হতো।”
বিপিএলে সাত ম্যাচে নাজমুলের রান ২৮১। এখন পর্যন্ত তৃতীয় সর্বোচ্চ রান। এরকম পারফরম্যান্সের পর সমালোচনা কমবে কিনা জানতে চাইলে নাজমুল বলেন, “পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে কিনা সেটা আমি বলতে পারবো না। যদি হয় তাহলে আলহামদুলিল্লাহ। যদি না হয় আমার হাতে কিছুনেই।”
নাজমুল হোসেনের প্রতিভা নিয়ে কারো সন্দেহ নেই। বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টের অনেকেই তাকে ভবিষ্যতের অধিনায়ক হিসাবে ধরে নিয়েছেন। তার প্রতিভা দেখেই বারবার তার উপর আস্থা রেখেছেন নির্বাচকরাও।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম