ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়া পর এবার ওয়ানডে সিরিজ খেলতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। তার আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভাইস চ্যান্সেলর একাদশের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে টাইগাররা। তবে এ প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেননি টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি।
স্যাবিনা পার্কে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভাইস চ্যান্সেলর একাদশ। মোসাদ্দেক সৈকত ও রুবেল হোসেনের বোলিং তোপে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৬ রান করে।
জবাবে মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরিতে ৪৩.৩ ওভার খেলে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। এ ম্যাচে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার সাথে মাঠের বাইরে ছিলেন সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। ফলে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ দলকে ভালো শুরু এনে দেন লিটন কুমার দাশ। খালি হাতে সাজঘরে ফেরেন এনামুল হক বিজয়। দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন মিলে যোগ করেন ৯৩ রান। হাতে ব্যথা পেয়ে ব্যক্তিগত ৪১ রানে আহত অবসরে যান লিটন।
দলীয় ১০২ রানের মাথায় ৪৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন শান্ত। এর পর অল্পতেই ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। করেন ১০ রান। সুবিধা করতে পারেননি সাব্বির রহমানও, করেন মাত্র ৪ রান।
তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেছেন মুশফিক। স্ট্রোকের ফুলঝুরিতে রানের চাকা সচল রাখার কাজটাও করছিলেন তিনি। বল হাতে চমক দেখানো মোসাদ্দেক করেন ১১ রান। এরপর ফর্মে থাকা লিটনকে নিয়ে দ্রুত রান তুলেন মুশফিক। ৬১ বলে নিজের পঞ্চাশ তুলে নেন লিটন। মুশফিকের পঞ্চাশ পূরণ হয় ঠিক পঞ্চাশ বলেই। জয় থেকে মাত্র ১৪ রান দূরে থাকতে ব্যক্তিগত ৭০ রানে সাজঘরে ফিরেন লিটন।
৪৪তম ওভারে পরপর দুই বাউন্ডারি মেরে সোজা জয়ের বন্দরে পৌঁছে যান মুশফিকুর রহিম। ম্যাচ শেষে তিনি অপরাজিত থাকেন ৭৫ রানে। মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ৪ রান।
আগামী রোববার গায়ানায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।