সাকিব আল হাসানের বিধ্বংসী ইনিংসে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বড় সংগ্রহ পেয়েছিল ফরচুন বরিশাল। তবে মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে হারের স্বাদ নিতে হলো। বিপিএলের চতুর্থ ম্যাচে বরিশালকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছেন সিলেট।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯৪ রান করে বরিশাল। ৩২ বলে ২০৯ স্ট্রাইক রেটে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৬৭ রান করেছিলেন সাকিব আল হাসান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয় এবং জাকির হাসানের ব্যাটে এক ওভার বাকি রেখেই জয় তুলে নেয় মাশরাফির সিলেট।
ফরচুন বরিশালের পক্ষে ব্যাট হাতে মারমুখী মেজাজে শুরু করেন দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় এবং ও শ্রীলঙ্কার চাতুরাঙ্গা ডি সিলভা।মাশরাফির করা প্রথম ওভারে ১টি করে চার-ছক্কা মারেন এনামুল। ওই ওভার থেকে আসে ১৫ রান। পরের ৫ ওভারেও মারমুখী ছিলেন বিজয়- সিলভা তুলে নেন ৩৯ রান। ফলে পাওয়ার প্লেতে বরিশাল পায় বিনা উইকেটে ৫৪ রান।
ইনিংসের অষ্টম ওভারে বরিশালের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মাশরাফি। ২১ বলে ২টি চার ও ১টি ছয়ে ২৯ রানে বিজয় শিকার হন মাশরাফির। পরের ওভারে ডি সিলভাকে থামান পাকিস্তানের স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম। ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৫ বলে ৩৬ রান করেন তিনি।
৭৩ রানের মধ্যে দুই ওপেনার ফিরলেও বরিশালের রানের চাকা বিধ্বংসী মেজাজেই ঘুড়িয়েছেন সাকিব। শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরার করা ইনিংসের ১৭তম ওভারে ৩টি চার ও ১টি ছয়ে ১৯ রান তুলেন সাকিব। ২৬ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সাকিব। অর্ধশতক পেতে ৫টি চার ও ৩টি ছয় মারেন তিনি।
বিধ্বংসী রুপে থাকা সাকিবকে ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে আউট করেন মাশরাফি। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সাকিবের ক্যাচ নেন আমির। তবে ব্যক্তিগত ৩২ রানে ও ৬৬ রানে দু’বার জীবন পান সাকিব। দুর্ভাগা বোলার ছিলেন আমির।
সাকিবের পর শেষ দিকে আফগানিস্তানের করিম জানাতের ২টি ছক্কায় ১২ বলে অপরাজিত ১৭ রানের কল্যাণে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯৪ রান পায় বরিশাল। বরিশালের হয়ে মিডল-অর্ডারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১২ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলেন। বল হাতে সিলেটের মাশরাফি ৪ ওভারে ৪৮ রানে ৩ উইকেট নেন।
১৯৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় সিলেট। দলীয় এক রানে সাজঘরে ফিরেন কলিন অ্যাকারম্যান। শুরুতে উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেট গুটিতে তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে ১০১ রানে জুটি গড়েন শান্ত।
ব্যক্তি ৪৮ রানে শান্ত সাজঘরে ফিরলে তাদের জুটি ভাঙে। ৪০ বলে ৫টি চার ও এক ছক্কায় এ রান করেন তিনি। শান্ত না পারলেও হৃদয় ফিফটি তুলে নেন। ১৫তম ওভারে দলীয় ১৩৬ রানে ফিরেন তিনি। হৃদয়ের ৫৫ রানের ইনিংসে ৭টি চার ও একটি ছক্কার মার ছিল।
দলীয় ১৭৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় সিলেট, ফিরনে তৌহিদ হৃদয়। তবে এর আগে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। ১৮ বলে ব্যাট হাতে করেন ৪৪ রান। ২৩৮.৮৮ স্ট্রাইক রেনে হৃদয়ের এ ইনিংসে ছিল ৪টি চার এবং ৩টি ছক্কার মার।
হৃদয় ফেরার পর বাকি কাজটুকু সারেন মুশফিকুর রহীম এবং থিসারা পেরেরা। তারা দুজনের যথাক্রমে ২৩ ও ২০ রানে অপাজিত ছিলেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন তৌহিদ হৃদয়।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস