ডিআরএস ‘বিতর্ক’ নিয়েই মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএল

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ০৯:২৭ পিএম, ০৫ জানুয়ারি ২০২৩
ডিআরএস ‘বিতর্ক’ নিয়েই মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএল

ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) ছাড়াই শুরু হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দু’টি ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে দেশের জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি এ টুর্নামেন্ট। উদ্বোধনী দিনে প্রথম ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দ্বিতীয় ম্যাচে লড়বে রংপুর রাইডার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

আসরের শুরু থেকে ডিআরএস সিস্টেম না থাকায় প্রকাশ্যে বিপিএল ব্যবস্থাপনার সমালোচনা করেছেন খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা। বিষয়টি নিয়ে বিপিএল কর্তৃপক্ষের কঠোর সমালোচনা করেছেন তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ডিআরএস না থাকা বোর্ডের অনিচ্ছার কথা জানিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ সালাহউদ্দিন।

প্রথম দিনের দু’টি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ডিআরএস না থাকলেও প্রাথমিকভাবে এডিআরএস (অতিরিক্ত ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) থাকছে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল জানিয়েছে, নক-আউট পর্ব থেকেই ডিআরএস চালু করা হবে।

গত বছরের বিপিএলে ডিআরএস না থাকায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। এসব কারণে কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই ডিআরএস ব্যবহার করবে বলেই আশা করেছিল খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। তবে সেটি আর হয়ে উঠেনি।

বিসিবির প্রধান নির্বাহি নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বলেছেন, “আমাদের প্রডাকশন দল দুই/তিন মাস আগে এটি (ডিআরএস) সম্পর্কে জানিয়েছে। এরপর ডিআরএস আনার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। এ বিষয়ে আইসিসির সাথেও যোগাযোগ করা হয়ে। তবে কিছু কারণে এটি আনা সম্ভব হয়নি।”

শুরু থেকে ডিআরএস না থাকার কারণ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একই সাথে এখন বেশ কয়েকটি ম্যাচ চলছে। কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগও চলছে। মূলত এ কারণেই আমরা ডিআরএস আনতে পারিনি।”

বিপিএলের পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকায় এসএ টি-টোয়েন্টি (১০ জানুয়ারি থেকে) এবং আবুধাবিতে (১৩ জানুয়ারি থেকে) আইএলটিও শুরু হবে। দুটি আসরই প্রথমবারের মতো মাঠে গড়াতে যাচ্ছে। তবে প্রথম মৌসুম থেকেই সম্ভাব্য সকল সুবিধা নিশ্চিত করতে চাইছে আয়োজকরা এবং সেগুলোর মধ্যে ডিআরএস একটি। অথচ বিপিএল পুরানো মৌসুম হলেও এতে কোন নতুনত্ব নেই এবং ডিআরএসের মতো সামান্য সুবিধাও নেই।

বিপিএলের সীমাবদ্ধতা ও বিভিন্ন ত্রুটির কথা অবশ্য স্বীকার করেছেন নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, “আমাদের এখানে অবশ্যই সীমাবদ্ধতা ছিল। যে কারণে আনতে পারেনি আমাদের প্রোডাকশন দল। এটি জানার পরে আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে যারা ডিআরএস সেবা দিয়ে থাকে, তাদের যথেষ্ট জনবল নেই।”

ডিআরএসের আয়োজনে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়। এক মাসের বিপিএলে কয়েক কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়ে থাকে। বোর্ডের অর্থের অভাব বা ইচ্ছার অভাব রয়েছে এমন ধারণাকে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাহী।

তিনি বলেন, “এখানে অর্থের কোন ইস্যু নেই। আমরা যখন ডিআরএস সম্পর্কে জানতে পেরেছি, আমরা সব সময় চেষ্টা করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে আইসিসির বাণিজ্যিক প্রধানের সাথে কথা বলেছি। কারণ, ডিআরএস কোম্পানির সাথে ভালো সম্পর্ক রয়েছে তার। আমি অন্যান্য বোর্ডের সাথেও যোগাযোগ করেছি কিন্তু এই মুহূর্তে তারা ব্যস্ত।”



শেয়ার করুন :