ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে হারের মুখে থেকেই রোববার পঞ্চমদিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। শুরু থেকেই সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে শুরুটা করেন। সাকিব তাতে কিছুটা সফল হলেও দ্রুত ফেরেন মিরাজ। তবে আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে অল্পের জন্য সবোর্চ্চ ছক্কার রেকর্ডটি সাকিবের হল না। এক ইনিংসে তামিম ইকবালের সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড আছে সাতটি। সাকিব কাল সমান ছয়টি করে চার ও ছক্কা হাকিয়েছেন।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের হার ১৮৮ রানে। এরআগে সর্বশেষ জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে খেলা দুই টেস্টের দুটিতেই হেরেছিল বাংলাদেশ। তার আগে শ্রীলংকার বিপক্ষে হোম সিরিজেও জিততে পারেনি টাইগাররা। প্রায় ছয় মাস পর আবার টেস্ট খেলতে নেমে এবার হার ভারতের বিপক্ষে। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটার সাকিব আল হাসান মনে করছেন, দীর্ঘদিন পরপর টেস্ট খেলতে নামলে আসলে উন্নতি করা সম্ভব না।
টেস্ট ভালো করার উপায় নিয়ে সাকিব বলেন, ‘টেস্টে আমাদের পাঁচদিনই ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। ভারতের বিপক্ষে ফল পেতে হলে চারটি বিশেষ ইনিংস খেলতে হবে।' চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাটারদের জন্য ভালো সুবিধা থাকলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। সাকিব বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো উইকেট ছিল কিন্তু প্রথম ইনিংসে আমরা ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি (প্রথম ইনিংসে) । ৫-৬ মাস পর টেস্ট খেলা অবশ্যই আদর্শ না। বাজে খেলার জন্য এটা কোনো অজুহাত হতে পারে না। ভারতকে ক্রেডিট দিতে হবে তারা যেভাবে বোলিং করেছে। তারা জুটি গড়ে বোলিং করে চাপ তৈরি করেছে।’
এদিকে চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষেকেই সেঞ্চুরি করে দারুন রেকর্ড গড়েছেন ওপেনার জাকির হাসান। ২৪ বছর বয়সী এই ব্যাটারের কল্যাণেই হারের ব্যবধান কিছুটা কম দেখাচ্ছে। জাকিরকে বাহবা দিলেন সাকিবও। তিনি বলেন, ‘ জাকির ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক রান করেছে। এ কারনেই তাকে দলে নেওয়া হয়েছে। আশা করি বাংলাদেশে হয়ে আরও সেঞ্চুরি করবে সে। '
এদিকে সাকিব প্রায় সাড়ে পাঁচ বছরের সেঞ্চুরি খরা কাটানোর খুব কাছে ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়নি। ১০৮ বলে করেন ৮৪ রান। তার সর্বশেষ বড় ইনিংসটিও ছিল ৮৪। ২০১৯ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে। তবে আগ্রাসী ব্যাটিং ছক্কার রেকর্ডের খুব কাছ থেকে ফিরেছেন তিনি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১৫ সালে খুলনা টেস্টে ২০৬ রানের পথে সাতটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। সেটাই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ব্যাটারদের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড।
এছাড়া সাকিবের আগে ছয়টি করে ছক্কা রয়েছে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোহাম্মদ রফিকের। গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১১৭ রানের ইনিংসের পথে নাজুমল হোসেন এবং ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬৫ রানের পথে ছয়টি ছক্কা মারেন। এদিকে টেস্ট সবমিলে সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ডটি ওয়াসীম আকরামের। ১৯৯৬ সালে ডাবল সেঞ্চুরির পথে ওয়াসিম ১২টি ছক্কা মেরেছিলেন।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম