অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি করলেন জাকির হাসান। আমিনুল ইসলাম বুলবুল, মোহাম্মদ আশরাফুল ও আবুল হাসানের পর চতুর্থ ব্যাটার হিসাবে দারুন এই কীর্তি গড়লেন জাকির। তাতে বাংলাদেশও ভালো অবস্থানেও ছিল। তবে মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতার পিছিয়ে পড়েছে স্বাগতিকরা। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান অপরাজিত ৪০ রানে, মেহেদী হাসান মিরাজ ব্যাট করছেন ৯ রানে।
শনিবার চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থদিন শেষে বাংলাদেশের রান ছয় উইকেটে ২৭২। ভারতের বিপক্ষে জিততে হলে এখনও ২৪১ রান করতে হবে স্বাগতিকদের। রোববার শেষদিনে কত সময় টিকে থাকতে পারে বাংলাদেশ সেটাই দেখার অপেক্ষা।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান উদ্বোধনী জুটিতে ভালো সংগ্রহ এনে দেন। ১২৪ রানের জুটিতে দলকে শক্ত ভিত এনে দেন শান্ত ও জাকির। ভারতের বিপক্ষে ওপেনিং জুটিতে এটাই সর্বোচ্চ রান। তবে নাজমুল হোসেন হাফ সেঞ্চুরি (৬৭) ও জাকির হাসান (১০০) ছাড়া আর কেউই ফিফটিও করতে পারেননি।
২৩৮ রানে ছয় উইকেট হারানোর পর সাকিব ও মিরাজের দৃড়তায় ম্যাচ পঞ্চমদিনে চলে গেছে। পুরো সিরিজেই তো বিপদে পড়লে দলকে টেনেছেন মিরাজ। আরও একবার তিনি ভারতের বিপক্ষে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। দারুন সঙ্গ দিচ্ছেন সাকিবকে।
শান্ত সাত চারে ৬৭ রান করেন। তবে প্রথম হাফ সেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরিত রূপ দিয়েছেন জাকির। অক্ষর প্যাটেলকে সুইফ শটে চার মেরে কাঙ্খিত তিন অংকের দেখা পেয়ে যান জাকির।
২৪ বছর বয়সী এই ব্যাটার নিজেকে নিয়ে গেলেন অনন্য উচ্চতায়। শুরুতেই দেখালেন প্রতিভার ছাপ। তবে সেঞ্চুরির পর আর টিকতে পারেননি তিনি। পরের ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
তার আউট হওয়ার পর মুশফিকুর রহিম ও নুরুল হাসান সোহানও দ্রুত ফিরে যান। চতুর্থদিনেই হারের শংকাও তৈরি হয়। তবে সাকিব ও মিরাজ তেমনটা হতে দেননি। দিনের শুরুটা হয়েছিল দারুন।
প্রথম সেশনে কোনো উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনেই তিন উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। শান্তর পর ইয়াসির আলী জাকিরকে সঙ্গ দিতে পারেননি। লিটন দাস টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেও অক্ষর প্যাটেলের টোপের শিকার হন।
এরআগে জোড়া সেঞ্চুরি ভারত দুই উইকেটে ২৫৮ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। প্রথম ইনিংসে ভারত করে ৪০৪ রান। স্বাগতিকরা প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫০ রানে অলআউট হয়।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম