বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরি করে দারুন রেকর্ডটা নিজের করে রেখেছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। যে রেকর্ড আর কেউই ভাঙতে পারবেন না। দেশের অভিষেক তো একবারই হয়। তবে এরপর বাংলাদেশের হয়ে নিজেদের অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন আরও দু'জন, মোহাম্মদ আশরাফুল ও আবু হাসান রাজু। এবার সেই কাতারে নিজেকে নিয়ে গেলেন জাকির হাসান।
অক্ষর প্যাটেলকে সুইফ শটে চার মেরে কাঙ্খিত তিন অংকের দেখা পেয়ে যান জাকির। ২৪ বছর বয়সী এই ব্যাটার নিজেকে নিয়ে গেলেন অনন্য উচ্চতায়। শুরুতেই দেখালেন প্রতিভার ছাপ। তবে সেঞ্চুরির পর আর টিকতে পারেননি জাকির। পরের ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
২২৪ বলে ১৩ চার ও এক ছক্কায় সাঁজানো জাকিরের ইনিংসটি। আউট হন ঠিক ১০০ রানে। বাংলাদেশের রান তখন ২০৯/৪। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে নতুন ব্যাটার সাকিব আল হাসান।
অভিষেক টেস্টে ভারতের বিপক্ষে অসাধরণ এক ইনিংস খেলেছিলেন আমিনুল ইসলাম। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৪৫ রানের ঝলমলে ইনিংসে নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন অনন্য উচ্চতায়।
মোহাম্মদ আশরাফুলের রেকর্ডটা আরও বড়। অভিষেকে সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান তিনি। ২০০১ সালে স্বাগতিক শ্রীলংকার বিপক্ষে সিংহলীজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এই কীর্তি গড়েন আশরাফুল। করেছিলেন ১১৪ রান।
এরপর বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটার হিসাবে অবিশ্বাস্য এক রেকর্ড গড়েছিলেন আবু হোসেন রাজু। বোলার হয়েও দশ নম্বরে নেমে করেছিলেন সেঞ্চুরি। ২০১২ সালে ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ১১৩ রান করেন আবুল। তার আসল কাজটা বোলিং হলেও এখানে তিনি ভালো কিছু করতে পারেননি। এজন্য তার ক্যারিয়ারও বেশি লম্বা হয়নি।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ৫১৩ রানের লক্ষ্যে লড়ছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাজে ব্যাটিংয়ের পর ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান গড়ে তোলেন ১২৪ রানের জুটি।
প্রথম ইনিংসে দলের সঙ্গে ব্যর্থ হয়েছিলেন জাকিরও। করেছিলেন মাত্র ২০ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে নাজমুল হোসেন শান্ত হাফ সেঞ্চুরি (৬৭) করে উমেষ যাদবের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
আরেক প্রান্ত আগলে রেখে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন জাকির। প্রথম সেশনে অক্ষর প্যাটেলকে চার মারার পর সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি পূরন করেন জাকির। লাগে ১০১ বল। এরপর শান্তর আউটে আরও ধীরগতির হয়ে পড়েন জাকির।
ইয়াসির আলী রাব্বি নেমে কিছুই করতে পারেননি। আউট হন পাঁচ রান করে। টেস্ট ব্যাটিংযে মেজাজে খেলতে খেলতে খেই হারিয়ে ফেলেন লিটন দাসও। দ্বিতীয় সেশন শেষ হওয়ার ঠিক আগে কুলদীপ যাদবের টপ দেওয়া বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
চা-বিরতিতে যাওয়ার আগে ৭১ ওভারে তিন উইকেটে বাংলাদেশের রান ছিল ১৭৬।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম