টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হতে না হতেই সবার আগে মাঠের লড়াইয়ে নামলো চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ করে এবার তারা মাঠে নেমেছে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বাঁ-হাতি ব্যাটার ডেভিড মালানের সেঞ্চুরি ম্লান করে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে অসিরা।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৯ বল হাতে রেখেই ইংল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এ জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল সদ্যই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় করা ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল।
অ্যাডিলেডে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। ৩১ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। দুই ওপেনার জেসন রয় ৬, ফিল সল্ট ১৪ ও মিডল-অর্ডারে জেমস ভিন্স ৫ রান করে ফিরেন।
শুরুতে জুটি না হলেও পরের দিকে ব্যাটারদের নিয়ে সফল হয়েছেন মালান। পরের ছয় জুটিতে ২৫০ রান আসে। সবগুলোতেই ছিলেন মালান। এ সময় ১০ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন মালান। শেষ পর্যন্ত ১২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১২৮ বলে ১৩৪ রান করে স্পিনার এডাম জাম্পার শিকার হন মালান।
ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জশ বাটলার ২৯, ডেভিড উইলি অপরাজিত ৩৪ রান করেন। ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৮৭ রানের সংগ্রহ পায় ইংণিশলা। অস্ট্রেলিয়ার নতুন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স-জাম্পা ৩টি করে উইকেট নেন।
জবাবে অস্ট্রেলিয়াকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড। ২০তম ওভারে দলীয় ১৪৭ রানে ওয়ার্নার-হেডের জুটি ভাঙেন ইংল্যান্ডের পেসার ক্রিস জর্ডান। ৫৭ বলে ৬৯ রান করেন হেড। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে ৮৪ বলে ৮৬ রানে ফিরেন ওয়ার্নার। হেডের মতো ১০টি চার ও ১টি ছয় মারেন ওয়ার্নার।
হেড-ওয়ার্নার ফেরার পর অস্ট্রেলিয়ার রানের চাকা ঘুড়িয়েছেন স্টিভেন স্মিথ। চতুর্থ উইকেটে অ্যালেক্স ক্যারিকে নিয়ে ৩৮ ও ক্যামেরুন গ্রিনকে নিয়ে পঞ্চম উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন ৪৭ রান তুলে অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত করেন স্মিথ।
ক্যারি ২১ ও গ্রিন ২০ রান করেন। ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় ৭৮ বলে ৮০ রাসেন অপরাজিত থাকেন স্মিথ। সেঞ্চুরি করে দলকে জেতাতে না পারলেও ম্যাচ সেরা হন ইংল্যান্ডের মালান।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস