টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো সুপার টুয়েলভে দুটি ম্যাচ জয়ের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। যা যেকোনো বিশ্বকাপের চেয়ে এবারের আসরটি নিজেদের সেরা বলেই মানছেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে তরুণ নির্ভর দলটি বিশ্বকাপে আরও ভালো করতে পারতো বলে আক্ষেপ করলেন সাকিব।
রোববার (৬ নভেম্বর) পাকিস্তানের বিপক্ষে বিতর্কিত এক সিদ্ধান্ত থেকেই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। না হলেও হয়তো প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালেও দেখা যেত বাংলাদেশকে। এছাড়া এর আগের ম্যাচেও ভারতের বিপক্ষে ‘ফেক ফিল্ডিং’-এর ৫ রানও পায়নি বাংলাদেশ। আম্পায়ারদের এমন বিতর্ক সিদ্ধান্ত ছাড়াও নিজেদেরও কিছু ভুল ছিল বলে মনে করেন টাইগার অধিনায়ক।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সাকিব বলেন, “ফলের দিক থেকে চিন্তা করলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটিই আমাদের সেরা আসর। আমি মনে করি, আমরা আরও ভালো করতে পারতাম। আমাদের সেই সুযোগ ছিল। নতুন ছেলেরা এসেছে, অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে অন্তত এটুকুর আশা ছিল আমাদের।”
পাকিস্তানের বিপক্ষে এ ম্যাচে হারের পর বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের। সাকিবদের হারিয়ে প্রথমদিকে ধুকতে থাকা পাকিস্তান সেমি-ফাইনালে পা রেখেছে। তবে টস ভাগ্যে জয় পেয়ে ম্যাচটি যেভাবে শুরু করেছিল বাংলাদেশ, সেখানে আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
ওপেনার লিটন দাসকে শুরুর দিকে হারালেও সৌম্যকে নিয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন নাজমুল হাসান শান্ত। ১১তম ওভারের চতুর্থ বলে সৌম্য ফিরলে ৫২ রানের জুটি ভাঙে। সৌম্য চলে যাওয়ার পর সাকিব উইকেট আসলেও টিকতে পারেননি। আম্পায়ারদের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে প্রথম বলেই খালি হাতে ফিরতে হয় বাংলাদেশের দলনেতার। শেষ পর্যন্ত ধস নামা বাংলাদেশের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ১২৭ রানে।
নিজেদের ইনিংস নিয়ে সাকিব বলেন, “ইনিংসের মাঝপথে আমরা ৭০/১ ছিলাম। সেখান থেকে আমরা ১৪৫-১৫০ রানের কাছাকাছি যেতে চেয়েছিলাম। এই উইকেটে সেটি রিজনেবল সংগ্রহ হতো। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডস ম্যাচে যেমনটা দেখেছি। ইনিংসের দ্বিতীয়ভাগ সব সময়ই কঠিন, শেষ দশ ওভারে রান করা কঠিন।””
অনেকটা আক্ষেপ করেন সাকিব বলেন, “আমরা জানতাম পরের ব্যাটাররা বা নতুন ব্যাটারদের জন্য এটি (রান করা) সহজ হবে না। তাই সেট ব্যাটারদের ক্যারি করে ইনিংস শেষ করা জরুরি ছিল, যা হয়নি!”
আসরটি বাংলাদেশের জন্য সেরা হলেও ব্যাট কিংবা বল হাতে ঠিক নিজের নামের সুবিচার করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেন সাকিব আল হাসান।
টাইগার অধিনায়ক বলেন, “আমি আসলে এ বিষয়ে জানি না। আমি বাংলাদেশের হয়ে যত বছর সম্ভব খেলার চেষ্টা করবো। আমাকে ফিট থাকতে হবে এবং পারফর্ম করতে হবে।”
সাকিব বলেন, “ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্সের দিক থেকে এটি আমার জন্য আদর্শ টুর্নামেন্ট ছিল না। আমি মনে করি, আমি আরও ভালো বোলিং-ব্যাটিং করতে পারতাম। তো, যতদিন ফিট আছি এবং দলের জন্য অবদান রাখছি, আমি খেলতে পছন্দ করবো।”