দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ছাড়া চলমান বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচেই চারজন বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন কঠিন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ‘গো টু’ বোলারে পরিণত হওয়া স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ছাড়া চলমান বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচেই চারজন বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডস-জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পঞ্চম বোলার হিসেবে সৌম্য সরকার-মোসাদ্দেক হোসেন দায়িত্ব পালন করলেও একজন বোলার কম থাকার কারণে বাংলাদেশকেও সমস্যায় পড়তে দেখা গেছে। তবে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলায় মোসাদ্দেক হোসেন সঠিকভাবে নিজ দায়িত্ব পালন করায় তার সামর্থ্যের উপর আস্থা রাখছেন সাকিব।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে পঞ্চম বোলারের অভাবই বেশি চোখে পড়েছিল। দলের তিন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ ১৬ থেকে ১৮ ওভার বল করার পর ১৯তম ওভারে নিজেই বোলিং করেন সাকিব। শেষ ওভারের জন্য কোন বিশেষজ্ঞ বোলার ছিল না। মোসাদ্দেকের হাতে বল তুলে নেন অধিনায়ক।
১১ রানে দুই উইকেট নিয়ে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দেন মোসাদ্দেক। এর আগে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শেষ ওভারটি করেছিলেন সৌম্য। ১ উইকেট নিয়েছিলেন তিনিও। দুই ম্যাচেই শেষ ওভারে জয় পায় বাংলাদেশ। ফলে এ যেন আরও একজন অতিরিক্ত বোলার পেয়েছেন সাকিব।
যদিও জিম্বাবুয়ে এবং নেদারল্যান্ডস কিছুটা দুর্বল দল ছিল। তবে শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপের কারণে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ চ্যালেঞ্জিং।
টি-টোয়েন্টিতে এক বা দু’টি বাজে ওভারই ম্যাচ থেকে ছিটকে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তাই বাংলাদেশ কি একজন অতিরিক্ত বোলার নিয়ে আসবে, এটিই দেখার বিষয়।
তবে তা মনে করেন না সাকিব। মোসাদ্দেককে প্রধান বোলার হিসাবে বিবেচনা করতে চান তিনি। কারণ হিসেবে সাকিব জানান, মোসাদ্দেককে অনিয়মিত বোলার হিসাবে ভাবা ভুল হবে।
ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার আগের দিন মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাব সাকিব বলেন, “দেখুন, ঘাটতি থাকলে আমরা ২০ ওভার শেষ করতে পারতাম না। এ বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন মোসাদ্দেক। টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ উইকেট পাওয়া খুবই বিরল। আপনি যদি তাকে, অনিয়মিত বোলার মনে করেন, আমি বলবো এটা ভুল।”
চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩ ম্যাচে ৭ ওভার বল করেছেন মোসাদ্দেক। ওভার প্রতি ৯ দশমিক ১৪ রান দিয়েছেন তিনি। সাকিবের চোখে মোাসাদ্দেক নিয়মিত বোলার হলেও এ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই শুধুমাত্র চার ওভারের কোটা পূরণ করেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এক ওভার এবং নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুই ওভার বল করেছিলেন মোসাদ্দেক। সব মিলিয়ে এ ৩১ টি-টোয়েন্টিতে ৭ দশমিক ২১ ইকোনমিতে ১৮ উইকেট নিয়েছেন এই স্পিনার।
সাকিব বলেন, “সে (মোসাদ্দেক) হয়তো ভালো বল করতে পারে, কিন্তু আমরা আগে তাকে সেভাবে বিবেচনা করিনি। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে চার ওভার বল করেন তিনি।”
তবে অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে কম্বিনেশন নিয়ে এখনও চিন্তা করেনি বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। সাকিব জানান, কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষ বিবেচনা করে সেরা দল সাজানো হবে।
সাকিব বলেন, “আমি সত্যিই একাদশ নিয়ে ভাবিনি। কম্বিনেশন অনেক উপায়ে করা যেতে পারে। তারপরও আমাদের যা সামর্থ্য আছে তা নিয়ে কিভাবে সুবিধা নিতে পারি, সেটিই আমাদের ভাবতে হবে।”
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস