বিসিবির বহু প্রতীক্ষিত আঞ্চলিক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (আরসিএ) অবশেষে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে বোর্ডের (বিসিবি) একজন কর্মকর্তা অনুমোদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর ফলে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠনে আর কোনো বাঁধা রইলো না।
বোর্ডের ওই কর্মকর্তা জানান, বিসিবি অনুমোদন পাওয়ায় এখন এনএসসি প্রয়োজনীয় কাঠামো স্থাপনের জন্য বোর্ডের সাথে কাজ করবে।
বাংলাদেশ টেস্ট মর্যাদা পেয়েছে ২২ বছর আগে। যেখানে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পূর্বশর্ত ছিল আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠন করা। তবে বর্তমান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান তৃতীয় মেয়াদে গত ১৯ জুলাই (মঙ্গলবার) বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) গঠনতন্ত্র সংশোধন করে ক্রিকেটের প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের অনুমোদন দেওয়া হয়।
২০১৩ সালে সভাপতি হিসেবে বিসিবির দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের ক্রিকেটীয় ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। তবে সেটি দীর্ঘদিনেও বাস্তবায়নের পথে ছিল না বিসিবি।
বিসিবির সর্বশেষ এজিএমে আলোচিত আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠনের বিষয়ে অনুমোদন পাওয়ার পর কার্যত বাঁধা কেটে যায়। তবে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের কথা বলা হলেও মূল ক্ষমতা থাকবে কেন্দ্রে।
বিসিবির সংবিধান অনুসারে, আঞ্চলিক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে বিভিন্ন প্রশাসনিক বিভাগে দেশের ক্রিকেট পরিচালনার জন্য একটি সংস্থা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে। তবে আঞ্চলিক ও জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে সারা দেশে ক্রিকেট পরিচালনা নিশ্চিত করবে বিসিবি।
ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল, রংপুর, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের কাউন্সিলর ও পরিচালকদের দিয়ে আটটি আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হাসান পাপন সে সময় জানিয়েছিলেন, “বড় বিভাগের জন্য ১৭ ও ছোট বিভাগের জন্য ১১ জন করে সদস্য থাকবে।”
বিভাগ ভিত্তিক কমিটি গঠন হলেও আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার সদস্য নির্বাচন ও বাছাইয়ের কাজ করবে বিসিবি নিজেই। বিসিবি সভাপতি বলেন, “আপাতত প্রাথমিক দিক নির্দেশনাটা বিসিবি’ই তৈরি করবে। বিসিবিকে এ দায়িত্বটা দেওয়া হয়েছে।”
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস