ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে, পরবর্তীতে গ্রেফতারী পরোয়ানাও জারি হয়েছে। কিন্তু এতদিন এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন নেপালি লেগ স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানে। অবশেষে মুখ খুললেন তিনি, বললেন এসব অভিযোগে তিনি নাকি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে লামিচানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন ১৭ বছর বয়সী এক নেপালি কিশোরী। এরপর মামলাটি নথিভুক্ত করে নেপালি পুলিশ। এমনকি নেপালের একটি আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করে।
এত কিছুর পর জরুরী এক সভা ডেকে লামিচানেকে নিষিদ্ধ করে নেপাল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। তখন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) খেলছিলেন লামিচানে। এ অভিযোগ ওঠার লিগ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন।
এবার প্রায় তিন সপ্তাহ পর বললেন এসব অভিযোগ তার মানসিক ভারসাম্যে প্রভাব ফেলেছে। শারীরিক ও মানসিকভাবে এই ধাক্কা এখনো মেনে নিতে পারেননি তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে লামিচানে বলেন, “পুরো ঘটনা আমাকে মানসিকভাবে ধাক্কা দিয়েছে, একইসঙ্গে শারীরিকভাবেও দুর্বল করে দিয়েছে। মানসিক চাপ ও অসুস্থ শরীরে আমি নিজেকে আইসোলেশনে রেখেছি। এই অভিযোগের কারণে আমি মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি, আমার ভারসাম্য ঠিক নেই।”
এর কয়েকদিন আগে এক টুইট বার্তায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন তিনি। এমনকি খুব দ্রুত দেশে ফিরে সব ধরণের অভিযোগের মোকাবেলা করবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
“আমি নির্দোষ এবং নেপালের আইনের প্রতি আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি সিপিএল থেকে ছুটি নিয়ে কয়েক দিনের মধ্যে দেশে ফিরব। সব ভিত্তিহীন অভিযোগের মোকাবিলা করতে আমি প্রস্তুত” টুইট বার্তায় বলেছিলেন নেপালের সদ্য নিষিদ্ধ এই অধিনায়ক।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি