শহীদ আফ্রিদি; পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক এবং কিংবদন্তি ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তানের বহু ম্যাচ জয়ের কান্ডারি তিনি। ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সকল সংস্করণ থেকে অবসর নেওয়া এ অলরাউন্ডার এবার নিজের করা ভুল নিয়ে বোমা ফাটালেন। নিজ দেশের গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ১৭ বছর আগের করা এক ভুলের কথা শিকার করেছেন শহীদ আফ্রিদি।
২০০৫ সাল, পাকিস্তানের ফয়সালাবাদে চলছিল পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের টেস্ট ম্যাচ। সেই ম্যাচে ‘পিচ ট্যাম্পারিং’ করেছিলেন শহীদ আফ্রিদি।পিচ ট্যাম্পারিংয়ের অভিযোগে সে সময় এক টেস্ট ও দুই ওয়ানডে থেকে নিষিদ্ধও হয়েছিলেন আফ্রিদি। তবে সে সময় পুরোপুরি দোষ নিজের কাঁধে না নিলেও এবার তা স্বীকার করে নিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক এ অধিনায়ক।
শহীদ আফ্রিদি বলেন, “আমি আমার গায়ের পুরো শক্তি দিয়েই বোলিং করছিলাম, কিন্তু কিছুই হচ্ছিল না। এমন সময় হঠাৎ একটি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয় এবং মাঠ থেকে সবার মনোযোগ সেই বিস্ফোরণের দিকে চলে হয়। আমি তখন শোয়েবকে (শোয়েব মালিক) বললাম, আমার মন চাচ্ছে পিচে গর্ত করে দেই, যেন কমপক্ষে বল টার্ন করে।”
পাকিস্তানের সাবেক এ অধিনায়ক আরও বলেন, “এরপর শোয়েব আমার কথায় রাজি হলো এবং আমাকে বললো যে, করে দাও কেউ দেখছে না। তখনই আমি এই কাজটি করি এবং বাকিটা ইতিহাস।”
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ৪৬২ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৪৬ রানের অলআউট হয় ইংলিশরা। দ্বিতীয় ইনিংসের ৯ উইকেটে ২৬৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে ইনজামাম-উল-হকের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান।
২৮৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে পঞ্চম দিন শেষে ৬ উইকেটে ১৬৪ রান করলে ম্যাচটি ড্র হয়। দীর্ঘ দিন পরে হলেও ওই ম্যাচের কথা মনে হলে ক্রিকেটে ভুল করার অনুতপ্তে ভোগেন আফ্রিদি। তিনি বলেন, “তবে, এত বছর পর যখন আমি সেই স্মৃতির কথা ভাবি, তখনই বুঝতে পারি যে এটি একটি ভুল ছিল।”
তবে এটিই যে আফ্রিদির একমাত্র ভুল তা নয়। ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ওয়ানডে সিরিজেও বল ট্যাম্পারিংয়ের অভিযোগে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন আফ্রিদ্রি। যার ফলে একই সফরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে পারেননি আফ্রিদি।
পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মোট ২৭ টেস্ট, ৩৯৮ ওয়ানডে এবং ৯৯ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন শহীদ আফ্রিদি। যেখানে ব্যাট হাতে ১১ হাজার ১৯৬ রানের পাশাপাশি বল হাতে শিকার করেছেন ৫৪১টি উইকেট।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস