বড় সংগ্রহ গড়েও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের স্বাদ নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলমান এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। দল হারলেও ব্যক্তিগত দুটি মাইলফলক স্পর্শ করেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ব্যাট হাতে ৬ হাজার রান এবং অধিনায়ক হিসেবে মুশফিকুর রহিমকে স্পর্শ করেছেন সাকিব।
এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক টি-টোয়েন্টিতে ৬ হাজার রানের ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুবাই ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২২ বলে ২৪ রান করে তিনি। এ রানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে এ নজির গড়েন সাকিব।
সাকিবের আগে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ৬ হাজার রান করেছেন তামিম ইকবাল। ২৩৮ ম্যাচে ৪টি সেঞ্চুরি ও ৪৪টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৬ হাজার ৮৮৬ রান রয়েছে তামিমের। আর ৩৬৯তম ম্যাচে এ মাইলফলক স্পর্শ করে সাকিব। বাংলাদেশ দলের এ অধিনায়কের সংগ্রহ এখন পর্যন্ত ৬০০৬ রান। ব্যাট হাতে ২৩টি হাফ-সেঞ্চুরি রয়েছে তার।
ব্যাট হাতে এ মাইলফলক স্পর্শ করার দিনে আরও একটি ব্যক্তিগত মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সাকিব। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্বে মুশফিকুর রহিমের পাশে বসেছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এশিয়া কাপের ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে টস করতে নেমে সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুরকে স্পর্শ করেন সাকিব।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ২৩টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মুশফিক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস করতে নেমে সমান সংখ্যক ২৩টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেন সাকিব।
দেশের হয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ভার্সনে সর্বোচ্চ ম্যাচে নেতৃত্ব দানে মুশফিকের পাশে এখন সাকিব। শুধুমাত্র ম্যাচ হিসেবেই নয়, জয়ের দিক দিয়েও মুশফিককে স্পর্শ সুযোগ ছিল সাকিবের। এ ম্যাচে জিতলেই অধিনায়ক হিসেবে অষ্টম জয়ের স্বাদ পেতেন সাকিব। অধিনায়ক হিসেবে মুশফিকও ৮টি টি-টোয়েন্টি জিতেছিলেন। তবে সাকিবের ভাগ্যে সেটি হয়নি।
জয়ের রেকর্ড স্পর্শ করতে সাকিবকে আরও সময় নিতে হবে। কারণ, লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচটিতে হেরে গিয়ে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। মুশফিকের নেতৃত্বে বাংলাদেশের হার রয়েঠে ১৪টি ও একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। এছাড়া সাকিবের নেতৃত্বে ১৫টি ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ ও জয়ের রেকর্ড মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দখলে। ৪৩ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে ১৬টি জয় এনে দিয়েছেন তিনি। তার অধীনে ২৬টি হার ও ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস