চলতি এশিয়া কাপে আফগানিস্থানের বিপক্ষে হারে সুপার ফোরে খেলার প্রাথমিক লক্ষ্য একটু হলেও ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশের। তবে শ্রীলঙ্কা আফগানদের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারায় রান রেট নিয়ে আপাতত ভাবতে হচ্ছে না টাইগারদের। কার্যত গ্রুপ ‘বি’র শেষ ম্যাচ দুই দলের জন্যই ‘ডু অর ডাই’তে পরিণত হয়েছে। ফলে সুপার ফোরে যেতে হলে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সাকিবের দলকে পার করতে হবে শ্রীলঙ্কা বাধা।
এশিয়া কাপের মঞ্চে ১৪বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। যেখানে ১১ জয় নিয়ে পরিসংখানে লঙ্কানদের পাল্লা বেশি ভারি। তিন জয় নিয়ে বেশ পিছিয়েই আছে টাইগাররা।
তবে বাংলাদেশকে আশাবাদী করতে পারে শীলঙ্কার বিপক্ষে সাম্প্রতিক পারফর্ম্যান্স। এশিয়া কাপে শেষ দুইবারের দেখাতে দুইবারই লঙ্কানদের হারিয়েছে সাকিবের দল। ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ২৩ রানে ও ২০১৮ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটে ১৩৭ রানে লঙ্কানদের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।
সবমিলিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১২টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। এখানেও আটটি জয় নিয়ে এগিয়ে রয়েছে লঙ্কানরা। দ্বীপরাষ্ট্রের দেশটির বিপক্ষে বাংলাদেশের পাওয়া চার জয়ের সবকটিই এসেছে ২০১৬ সালের পর। ফলে সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোর জন্য আশাবাদী হতেই পারেন সাকিব-মুশফিকরা।
দল হারলেও টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে সাকিব-রিয়াদের উন্নতি
দেশে থাকা অবস্থায় মুশিকুর রহিমকে ওপেন করানোর আভাস দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল ওপেন করতে পারেন সাকিব আল হাসান বা মেহেদী হাসান মিরাজও। কিন্তু দেখা গেল, আফগানদের বিপক্ষে ওপেন করলেন এনামুল হক বিজয় ও শেষ মুহূর্তে দলে যোগ দেওয়া নাঈম শেখ! দু’জনই ব্যর্থ, দলও হারলো!
সেক্ষেত্রে আজ বাংলাদেশ দলের ওপেনিংয়ে আসতে পারে পরিবর্তন। মিরাজকে দেখা যেতেও পারে নাঈম বা বিজয়ের জায়গায়। অন্যদিকে প্রায় তিন বছর দলে ফিরেছেন সাব্বির রহমান। দলীয় অনুশীলেন দুর্দান্ত করলেও সুযোগ মেলেনি আফগানদের বিপক্ষে একাদশে।
শক্ত আভাস রয়েছে, লঙ্কানদের বিপক্ষে একাদশে আসতে পারেন সাব্বির। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাট হাতে বেশ কিছু দুর্দান্ত ইনিংস রয়েছে তার। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে প্রিয় প্রতিপক্ষকে পেয়ে হয়তো খুশিই হবেন।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফর্মের যাচ্ছেতাই অবস্থা! দলে মুশিকুর রহিমের জায়গা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে চারদিকে। তবে শ্রীলঙ্কাকে পেলে মুশফিক যেন ভুলে যান অফফর্ম বা ইনফর্মের কথা। লঙ্কানদের বিপক্ষে ১০ ম্যাচে তার রান ২৯৬, গড় ৪২। দলের বিপদে, নিজের বাজে ফর্মের সময় লঙ্কাণদের বিপক্ষে নিশ্চয়ই কথা বলতে চাইবে মুশফিকের ব্যাট।
তবে শ্রীলঙ্কার স্পিনার হাসারাঙ্গা ও মাহিস থিকসানার দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে বাংলাদেশের। এই দু’জন টাইগারদের ব্যাটারদের ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। ব্যাটিংয়ে লঙ্কানদের রাজাপাকশে, কুশল মেন্ডিসদের দ্রুত ফেরাতে হবে টাইগারদের।
সম্ভাব্য শ্রীলঙ্কা একাদশ: দাশুন শানাকা (অধিনায়ক),দানুশ গুনাথিলাকা, পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, চারিথ আসালাঙ্কা, ভানুকা রাজাপাকসে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, চামিকা করুনারত্নে, মাহেশ থিকসানা, দিলশান মাদুশাঙ্কা, মাথিশা পাথিরানা।
সম্ভাব্য বাংলাদেশ একাদশ: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নাঈম/মিরাজ, নাঈম শেখ/সাব্বির, আফিফ হোসাইন, মুশফিকুর রহিম, মোসাদ্দেক হোসাইন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মাহেদী হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি