এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দিয়েই টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে নিজের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছেন সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় অধ্যায়ের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। আফগানদের স্পিন ভেলকিতে ১২৭ রানে থেমেছে টাইগারদের ইনিংস।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। এনামুল হক বিজয়ের সাথে ইনিংস উদ্বোধনে নামে দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা নাঈম শেখ। এশিয়া কাপের আগে মিডল অর্ডারে থাকা আফিফ হোসেন ও মেহেদি হাসান মিরাজকে দিয়ে ওপেনিং করার গুঞ্জন উঠলেও তা হয়নি। দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেই বিজয়ের ওপেনিং সঙ্গী হয়েছেন নাঈম শেখ।
প্রত্যাবর্তনটা রাঙাতে পারেননি নাঈম শেখ। দলীয় ৭ রানে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মুজিব উর রহমানের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। সঙ্গী এনামুল হক বিজয়ও খুব একটা সময় উইকেটে থাকতে পারেননি। ঘরোয়া ক্রিকেটে রান ফোয়ারা ফোটানো বিজয় টি-টোয়েন্টিতে নিজের নামের প্রতি করতে পারছেন না সুবিচার।
এশিয়া কাপেও বদলায়নি সেই পরিস্থিতি। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মুজিবের বলে হয়েছেন লেগ বিফোরের শিকার। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান টি-টোয়েন্টিতে দলের বড় ভরসা। আফগানদের বিপক্ষেও তার উপরই ছিল প্রত্যাশা।
হতাশ করেছেন অধিনায়কও। ৯ বলে ১১ রান করে ফেরেন তিনি। ফলে ২৪ রানে তিন উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে যায় টাইগাররা। পাওয়ার প্লে শেষ না হতেই প্যাভিলিয়নে তিন টাইগার ব্যাটার।
দুই সিরিজ পর টি-টোয়েন্টিতে ফেরা মুশফিকুর রহিমও দিতে পারেননি আস্থার প্রতিদান। ৪ বলে ১ রান করেন তিনি। এই ম্যাচ দিয়ে প্রায় এক বছর পর ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্কণে তাকে দেখা যাবে উইকেটের পিছনে।
মুশফিক-সাকিবের বিদায়ের পর হাল ধরার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। দু’জন মিলে গড়েন ২৫ রানের জুটি। রশিদ খানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লে শেষ পর্যন্ত ভাঙে এই জুটি।
ব্যক্তিগত ১২ রানে ফিরলে দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেওয়ার চেষ্টা করেন মোসাদ্দেক হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ। দু’জন মিলে গড়েন ৩৬ রানের জুটি। মূলত এই জুটিতে গড়া ভিত্তিতেই পেরিয়েছে বাংলাদেশ দলের শতরানের কোটা।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফিরলে ভাঙে ৩৬ রানের এই জুটি। এই ম্যাচে নিজের স্বভাবজাত সেই ধীরগতির ব্যাটিং ধরে রাখেন রিয়াদ। তার ব্যাট থেকে আসে ২৭ বলে ২৫ রান।
বাংলাদেশের টপ ও মিডল অর্ডারে ব্যাটাররা রানের দেখা না পেলেও ব্যাট হাতে ব্যতিক্রমী ছিলেন মোসাদ্দেক। ৩১ বলে করেন ৪৮ রান। অলরাউন্ডার শেখ মাহেদির সাথে গড়ে তোলেন ২৪ বলে ৩৮ রানের জুটি।
শেষ পর্যন্ত ১২৭ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান আসে মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান আসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে।
আফগানদের হয়ে ৩ টি করে উইকেট শিকার করেন মুজিব উর রহমান ও রশিদ খান। এই ম্যাচেই টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ২০০তম উইকেটের স্বাদ পান মুজিব উর রহমান।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর