টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুত রান তুলতে চার-ছক্কার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু বাংলাদেশী ব্যাটারদের কি আদৌ নিয়মিত চার-ছক্কা মারার সামর্থ্য আছে! বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার একাধিকবার সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছেন, তারা পোলার্ড বা রাসেল নয় যে নিয়মিত ছয় মারবেন! এরপরই প্রশ্ন ওঠে, তাদের কি সত্যিই সামর্থ্য নেই!
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগে (ডিপিএল) রান বন্যা বইয়ে জাতীয় দলে ফিরেছেন ব্যাটার এনামুল হক বিজয়। তবে ওয়ানডেতে ভালো করলেও টি-টোয়েন্টি ও টেস্টে তার পারফর্ম্যান্স খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়।
২০ ওভারের খেলার অতিরিক্ত ডট বল খেলার অভিযোগে বেশ কয়েকবারই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। টানা দুই সিরিজের ব্যর্থতায় অনেকেই এশিয়া কাপের দলে তাকে চাইছিলেন না। তবে এশিয়া কাপের দলে ঠিকই টিকে গেছেন বিজয়, এমনকি দলের সহ-অধিনায়কের দায়িত্বও পড়েছে তার কাঁধে।
পাওয়ার হিটের নিয়ে বাংলাদেশ দলের আক্ষেপ আজীবনের! নেমেই চার-ছক্কা মারবে এমন একটা ব্যাটারের অভাব টাইগারদের দলে। তবে বিজয়ের মতে, চার ছক্কার মারার জন্য পাওয়ার হিটিংয়ের জন্য হিটার হওয়ার চেয়ে পরিকল্পনা বেশি প্রয়োজন। বাংলাদেশ দলে কারো চার-ছক্কা মারার সামর্থ্য নেই এমনটা কেউ বলতে পারবেন না বলে দাবি বিজয়ের।
এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে সাকিব দুর্দান্ত না খেললে অবাক হবো: ওয়াটসন
রোববার (২৬ আগস্ট) আইসিসির অ্যাকাডেমি মাঠে দ্বিতীয় দফার অনুশীলন শেষে ভিডিও বার্তায় এনামুল বলেন, “আমি প্রায় ১০ বছর ধরে বিপিএল খেলছি, বাংলাদেশের হয়েও খেলেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, আমাদের যে মেধা আর পরিশ্রম, তাতে পাওয়ার হিটিংয়ের চেয়ে পরিকল্পনা বেশি জরুরি। কেউ বলতে পারবে না, দলের কেউ চার-ছক্কা মারতে পারে না বা সামর্থ্য নেই। শতভাগ সামর্থ্য নিয়েই বাংলাদেশ দলে খেলতে হয়।”
তবে বিজয়ের মতে প্রত্যেক ব্যাটারকে বাউন্ডারি হাঁকানোর জন্য সমময় দেওয়া উচিত। চেষ্টা করলে প্রত্যেকেই চার-ছক্কা মারতে পারবে বলে মনে হয় তার।
“তাদের (ব্যাটসম্যান) নিজস্ব সময় দেওয়া উচিত। ১০ বল হোক, ৩-৪ বল হোক; এরপর চেষ্টা করলে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের চার-ছক্কা মারার সামর্থ্য আছে। আমার মনে হয় না ক্রিকেটারদের হতাশ হওয়ার কিছু আছে” যোগ করেন বিজয়।
এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত ওপেনিং পজিশনে ব্যাটিং করার কথা রয়েছে বিজয়ের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ওপেনারদের দায়িত্ব থাকে শুরুতেই ব্যাট হাতে দলকে ঝড়ো শুরু এনে দেওয়ার। বিজয়ও ভালো করেই জানেন সেটা।
এশিয়া কাপের মতো বড় মঞ্চে সুযোগ পেয়ে নিজেকের ভাগ্যবান মনে করার পাশপাশি দলকে ঝড়ো সূচনা এনে দেওয়ার প্রত্যয়ও শোনা গেল এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সহ-অধিনায়কের মুখে।
বিজয় বলেন, “যেহেতু এশিয়া কাপ বড় মঞ্চ, চেষ্টা করব দলকে কার্যকর ইনিংস উপহার দেওয়ার। নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। ইনিংসের যেন শুভসূচনা করতে পারি। টপ অর্ডারে ভালো স্কোর দাঁড় করালে তাদের জন্যও সুবিধা হবে। আবার মিডল অর্ডার ভালো করলে লোয়ার মিডল অর্ডারের জন্য ভালো হবে। দলীয় স্কোর বড় করলে বোলারদের জন্য ভালো হবে। আশা করছি দারুণ সূচনা এনে দিতে পারব, সেভাবেই অনুশীলন করছি।”
সংযুক্ত আরব আমিরাতে শনিবার (২৭ আগস্ট) রাতে এশিয়া কাপের পর্দা উঠলেও বাংলাদেশের এশিয়া কাপ শুরু হবে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ‘বি’ গ্রুপে টাইগাদের বাকি প্রতিপক্ষ স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা ।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি