প্রথম ম্যাচে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় অসহায়ভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দলের। দ্বিতীয় ম্যাচে সেই ব্যাটাররা ম্যাচ জিতিয়ে সিরিজে সমতা ফেরালেন। ওপেনিংয়ে নাঈম শেখের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি ও শেষদিকে সাব্বির রহমানের অসধারণ হাফ সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলকে ৪৪ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সেন্ট লুসিয়ায় সিরিজে সমতা ফেরানোর লক্ষ্যে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের তুলনায় এদিন বাউন্স ও মুভমেন্ট একটু কম থাকায় বেশ স্বস্তিতেই ছিলেন টাইগার ব্যাটাররা। যদিও ইনিংসের শুরুর দিকেই বিশ্রী শট খেলে নিজের উইকেট বিলিয়ে আসেন ওপেনার সৌম্য সরকার।
সৌম্য চলে গেলেও এদিন শুরু থেকে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন নাঈম। দ্বিতীয় উইকেটে সাইফ হাসানের সঙ্গে ৫৭ ও তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুনের সঙ্গে গড়েন ৯৩ রানের জুটি। ১৪ চার ও ১ ছক্কায় ১১৭ বলে ১০৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে আউট হন নাঈম।
জাতীয় দলে ফেরার জন্যে এই সিরিজের পারফর্মেন্স যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সেই সিরিজেই প্রথম ম্যাচে নাঈম ফিরেছিলেন শূন্য রানে। তাই এই ম্যাচে এরকম ইনিংস তার জন্য বিশেষই বটে।
অন্যদিকে সদ্যই তিন বছর পর এশিয়া কাপ দিয়ে জাতীয় দলে ফিরেছেন সাব্বির রহমান। জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার পর ‘এ’ দলের জার্সিতে প্রথম ম্যাচে তিনিও ছিলেন বিবর্ন।
কিন্তু এই ম্যাচে সাব্বির যেন নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন । শেষ দিকে খেলেন ৫৮ বলে ৬২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। এর সাথে উইকেটরক্ষক জাকের আলি অনিকের ১২ বলে ১৮ রানের সৌজন্যে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ২৭৭ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ভালো শুরু পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৯৩ রান তুলে ফেলেন দুই স্বাগতিক ওপেনার ত্যাগনারাইন চন্দরপল ও জশুয়া ডি সিলভা।
ব্যক্তিগত ৩৮ রান করা চন্দরপলকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের গলার কাটা হওয়া বের করেন পেসার রেজাউর রহমান রাজা। সিলভা অবশ্য হাফ সেঞ্চুরি করেছেন, তাকেও ফিরিয়েছেন রাজা। ৬৮ রানে ফেরেন স্বাগতিক অধিনায়ক।
এরপর বাংলাদেশী বোলারদের দাপটে আর সুবিধা করতে পারেনি স্বাগতিক ব্যাটাররা। শেষদিকে ব্রায়ার্ন চার্লস ২৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেও সেটা কাজে লাগেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের! বরং শুরু হারের ব্যবধানই কমিয়েছে ।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের ৪৪ রানের জয়। একই সাথে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফিরলো টাইগাররা।
বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে তিন উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল বোলার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। এছাড়া ২ উইকেট নেন রাজা। একই ভেন্যুতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ অনুষ্টিত হবে শনিবার (২০ আগস্ট)। দুই দলই একটি করে ম্যাচ জেতায় শেষ ম্যাচ এখন অঘোষিত ফাইনাল।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি