২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে কলকাতায় দিবা-রাত্রির টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন বিরাট কোহলি। এরপর থেকে সময় যতই এগিয়েছে সেঞ্চুরি থেকে তত দূরে সরে গেছেন। পাশাপাশি তার ব্যাটে যুক্ত হয়েছে রানখরা। তাকে নিয়ে তৈরি হয়েছিল নানা আলোচনা-সমালোচনা। সেগুলো নিয়ে এতো মুখ না খুললেও এবার জানিয়ে দিয়েছেন, বিষয়টা তার উপর তৈরি করেছিল চাপ।
২০১৯ সালে কলকাতা টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন বিরাট কোহলি। এরপর থেকে দিন যত এগিয়েছে, বেড়েছে ৭১তম সেঞ্চুরির অপেক্ষা।
সেঞ্চুরির এই অপেক্ষা আস্তে আস্তে পরিণত হয়েছে রানখরায়। সেই সমস্যা সমাধান কয়েকবার জাতীয় দল থেকে ছুটিও নিয়েছিলেন তিনি। তবে বের হতে পারেননি রান খরা থেকে। এর মূল কারণ হিসেবে তার উপর থাকা প্রত্যাশার চাপকেই দোষ দিচ্ছেন তিনি। প্রত্যাশার চাপে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তাও স্বীকার করে নিয়েছেন বিরাট কোহলি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা ও সমর্থন থাকলেও একাকীত্বে ভুগেছেন তিনি। বলেন, “ঘর ভর্তি লোক আমাকে সমর্থন ও ভালোবাসলেও আমি একাকীত্বে ভুগেছি। বিশ্বাস করি, অনেক মানুষ বিষয়টার সাথে একমত হবে। নিজের জন্য সময় বের করতে হবে, নিজেকে সময় দিতে হবে। যদি সেটা সম্ভব না হয়, আশেপাশের চাপে ভালো থাকা কঠিন হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সবাইকে শিখতে হবে কিভাবে নিজেকে সময় দেওয়া যায়, যাতে সবকিছুর ভারসাম্য বজায় থাকে। অন্যকিছুর মতো এর জন্যও অনুশীলন করতে হবে। কাজে আনন্দ পাওয়ার জন্য এর বিকল্প নেই।”
তরুণ অ্যাথলেটদেরকেও তার এই খারাপ সময় থেকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ বিরাট কোহলির। বলেন, “ক্রমাগত চাপ মানসিক স্বাস্থ্যকে খুব বাজেভাবে আঘাত করে। যতই শক্তিশালি হওয়ার চেষ্টা করি না কেন, ঘুরে দাঁড়াতে দেয় না। অন্য অ্যাথলেটদের প্রতি আমার পরামর্শ, শুধু শারিরীক ফিটনেস না, মনের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। না হলে দ্রুতই ভেঙে পড়তে হবে।”
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর