বিভিন্ন দেশের ফ্রাঞ্চাইজি লিগগুলোর জন্য আলাদা আলাদা উইন্ডো তৈরি করেছে আইসিসি। সেই অনুযায়ীই প্রকাশ করা হয়েছে আইসিসির ভবিষ্যত সফর সূচি (এফটিপি)। দুই লিগের মধ্যে সময় কোনোভাবেই সাংঘর্ষিক হওয়ার কথা ছিল না। তবে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান হওয়ায় এই সমস্যা পোহাতে হবে।
১৯৯৬ সালের পর দীর্ঘ ৩০ বছর বিরতি দিয়ে ২০২৫ সালে আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে পাকিস্তান। ওই বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ফলে বাধ্য হয়েই পিএসএল পিছিয়ে দিতে হবে দেশটিতে। এতেই আইপিএলের সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে উঠবে পিএসএল।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে পিএসএল আয়োজনের কোনো সুযোগ নেই পাকিস্তানের কাছে। কারণ, এর আগে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে সাথে নিয়ে খেলবে ত্রিদেশীয় সিরিজ।
আর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর মে মাসে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে। এই সিরিজ শেষে তাদেরকে উড়াল দিতে হবে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের উদ্দেশে। সেখানেও খেলবে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে।
একই বছরের আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কাকে আতিথ্য দিবে দেশটি। তাই তাদের সামনে পিএসএল আয়োজনের একমাত্র উইন্ডো হিসেবে খোলা থাকবে আইপিএলের সময়টুকু। পিএসএলের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ওই সময়ে তাদেরকে আয়োজন করতে হবে টুর্নামেন্টটি।
২০২৫ সালের পর ২০২৬ সালেও নির্ধারিত সময়ে পিএসএলও আয়োজন করতে পারবে না। কারণ, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কাজুড়ে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অবশ্য, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পিএসএল আয়োজনের সুযোগ পাবে পাকিস্তান। অর্থাৎ, সাত মাসের সময় ব্যবধানে পাকিস্তানকে দুইটি পিএসএল আয়োজন করতে হবে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৭ সাল থেকে নিয়মিত সময়ে পিএসএল আয়োজনের সুযোগ পাবে পিসিবি। এর আগের দুই বছর টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে সময়ের হের-ফের করতে হবে দেশটিকে।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর