প্রথমবারের মতো নারী দলগুলোর জন্য ভবিষ্যত সফরসূচি দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। ২০২২ সালে মে মাস থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এই চক্রে মোট ৭ টেস্ট, ১৩৫ ওয়ানডে ও ১৫৯ টি-টোয়েন্টি খেলবে নারী দলগুলো। বাংলাদেশ দল এই সময়ে খেলবে ২৪ ওয়ানডে ও ২৬ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) আইসিসি নারীদের ক্রিকেটের জন্য প্রথমবারের মতো ভবিষ্যত সফরসূচি প্রকাশ করে। প্রথমবারের মতো নারী ক্রিকেটারদের জন্য ভবিষ্যত সফর সূচি প্রকাশ করে বেশ উচ্ছ্বসিত আইসিসিও।
প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার ওয়াসিম খান বলেন, “নারী ক্রিকেটের জন্য এটা বড় অর্জন। শুধু এই ভবিষ্যত সফরসূচি ভিত্তিক খেলাই হবে না, দলগুলো এর বাইরে গিয়েও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে। এটা শুধুমাত্র একটি কাঠামো, যা নারী ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে।”
চলতি বছরের মে থেকে ভবিষ্যত সফর সূচি গণণা শুরু হলেও বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ নভেম্বরে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষীয় কোনো সিরিজ খেলবে বাংলাদেশের মেয়েরা।
২০২২-২৫ চক্রে বাংলাদেশের মেয়েরা আটটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে। এর মধ্যে চারটি ঘরের মাঠে এবং বাকি চার সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে দেশের বাইরে।
বাংলাদেশের মেয়েরা ঘরের মাঠে ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও আয়ারল্যান্ডকে আতিথ্য দিবে। আর বিদেশ সফরে খেলবে নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে। প্রত্যেকটি সফরেই থাকবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
এই চক্রে বাংলাদেশের মেয়েদের খেলা ওয়ানডে সিরিজগুলো হবে বিশ্ব নারী ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। প্রত্যেক সিরিজেই খেলবে তিনটি করে ওয়ানডে।
অপরদিকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে একমাত্র আয়ারল্যান্ড ছাড়া সবগুলো দেশের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে খেলবে। আইরিশ নারীদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলবে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।
এছাড়াও এই সময়ে দুইটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও একটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ দল। সাথে থাকবে এই বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচও।
টেস্ট স্ট্যাটাস পেলেও বাংলাদেশের মেয়েরা এই চক্রে টেস্ট খেলার সুযোগ পাচ্ছে না। অবশ্য টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া মাত্র চার দেশের সামনে এবার টেস্ট খেলার সুযোগ থাকছে। এই চক্রে অনুষ্ঠিত হবে মোট সাতটি টেস্ট।
২০২২-২৫ চক্রে সবচেয়ে বেশি ৫ টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত খেলবে যথাক্রমে ৪, ৩ ও ২ টি করে টেস্ট।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর