মারা গেলেন ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত আম্পায়ার দক্ষিণ আফ্রিকার রুডি কোয়েরজেন। নিজ দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৭৩ বছর বয়সী রুডির। তার ছেলে রুডি কোয়েরজেন জুনিয়র এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সকালে কেপটাউনে গলফ খেলে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে মারাত্মক দূর্ঘটনার কবলে পড়ে কোয়েরজেনের গাড়ি। বিপরীত পাশ থেকে আসা একটি গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে দূর্ঘটনা স্থলেই তিনি সহ গাড়িতে থাকা বাকি তিন সদস্য মারা যান।
স্থানীয় গণমাধ্যমকে রুডির ছেলে জানান, একটি গলফ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে বন্ধুদের সাথে কেপটাউনে গিয়েছিলেন রুডি। সোমবার ফেরার কথা থাকলেও এক রাউন্ড বেশি খেলার জন্য একদিন পরে ফেরেন তিনি। যদিও জীবন্ত অবস্থায় আর ফেরা হয়নি তার।
রুডি কোয়েরজেন ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা আম্পায়ার হিসেবে বিবেচিত হন, আলোচিতও বটে। ১৯৯২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসেবে অভিষেক হয় রুডিগার। ২০১০ সালে আম্পায়ারিং থেকে অবসর নেন তিনি।
বাংলাদেশের টেস্ট নিয়ে পিটারসেনের 'ভয়ঙ্কর' বার্তা
১৯৯২ সালের ৯ ডিসেম্বর ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজে আম্পায়ার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয় রুডির। একই সিরিজে টেস্টেও প্রথমবার আম্পায়ারিং করেন তিনি।
২২ বছরের আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারের ১০৮টি টেস্ট, ২০৯টি ওয়ানডে ও ১৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন। ২০০৫ অ্যাশেজ কিংবা ভারত-পাকিস্তানের মতো তুমুল উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০৫ সালে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার বিখ্যাত অ্যাশেজ সিরিজেই আম্পায়ারিং করেই সবার নজড় কেড়েছিলেন রুডি। ওই সিরিজের দুর্দান্ত আম্পায়ারিং করা রুডি প্রশংসিত হয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মহলে। আউটদের সিদ্ধান্ত দেওয়ার সময় আস্তে আস্তে আঙ্গুল উঁচুতে তোলার জন্য বেশ আলোচনায় থাকতেন তিনি।
আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকবারই আইসিসি থেকে পেয়েছেন সাফল্যের স্বীকৃতি।আইসিসির ইতিহাসে প্রথম আম্পায়ার হিসেবে টেস্টে গোল্ডেন বেইলস অ্যাওয়ার্ডস ও ওয়ানডেতে সিল্ভার এবং ব্রোঞ্জ অ্যাওয়ার্ডস জিতেছিলেন।
অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনার রেকর্ড ছিল তার। যদিও পরবর্তীতে পাকিস্তানের আলিম দার সেটা ভেঙে দিয়েছেন।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি