ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা ওপেনার গ্যারি ব্যালেন্স জাতীয় দল বদলাতে চন। ইংল্যান্ড ছেড়ে জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলার জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
গ্যারি ব্যালেন্সের জন্ম ও বেড়ে ওঠা সবই জিম্বাবুয়েতে। এমনকি জিম্বাবুয়ের অনুর্ধ্ব’১৯ দলের হয়ে পাঁচটি ম্যাচে মাঠেও নেমেছেন তিনি। তবে ২০০৬ সালে ক্রিকেটের উপর বৃত্তি পেয়ে ইংল্যান্ডে চলে যান ব্যালেন্স।
ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাট হাতে নিজের সামর্থ্যের প্রমান দিয়ে সুযোগ পেয়েছিলেন ইংলিশদের টেস্ট দলেও। ২০১৩ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ইংলিশদের জার্সিতে ২৩ টেস্টে খেলেছেন তিনি।
মাত্র ১০ টেস্টে ইংলিশ ক্রিকেটের দ্রুততম ক্রিকেটার হিসেবে এক হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন ব্যালান্স। কিন্তু শুরুর ফর্ম পরে আর ধরে রাখতে পারেননি। এক পর্যায়ে দল থেকে বাদ পড়েন।
সেঞ্চুরি করে মরগ্যান-জয়েসের পাশে চ্যাপম্যান
জিম্বাবুয়ের বর্তমান কোচ ডেভ হাটনের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে ব্যালান্সের। হাটনের স্ত্রী সম্পর্কে ব্যালান্সের বাবার কাজিন। কোচ হয়েই ব্যালান্সকে জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলার আমন্ত্রণ জানানো কথা বলেছিলেন তিনি।
চলতি বছরের মে মাসের দিকে জিম্বাবুয়ের খেলার অনুমতি চেয়ে আইসিসির কাছে আবেদন করেছেন ব্যালান্স। আইসিসির নিয়মানুসারে জাতীয় দল বদলাতে গেলে পূর্ণ সদস্য (টেস্ট দল) দেশের হয়ে সর্বশেষ খেলার পর তিন বছরের মধ্যে যদি না খেলে থাকেন তাহলে জাতীয় দল বদলাতে পারবেন।
সেক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের জার্সিতে সর্বশেষে ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাঠে নামা ব্যালেন্সের সামনে আর কোনো বাধা নেই।
তবে বর্তমানে কাউন্টি ক্রিকেটে ব্যাট হাতে দারুণ ফর্মে থাকা ব্যালেন্সকে দ্রুতই ইংলিশ দলে ডাকা হতে পারে এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে ব্যালেন্স যদি ইংলিশদের টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পান এবং খেলেন তাহলে তখনই সাময়িকভাবে জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলার আবেদন বাতিল হয়ে যাবে।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি