বর্তমানে ক্রিকেটের ঠাসা সূচিতে ক্রিকেটারদের বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ কমে গেছে অনেকখানি। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বেশ কিছু টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রিকেটাররা।
এই যেমন ইংল্যান্ড ব্যাটার জনি বেয়ারস্টো সেই জুন মাস থেকেই জাতীয় দলের খেলার মধ্যে রয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পর ভারতের সঙ্গে এক টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলেছেন তিনি।
এখন আবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইতিমধ্যে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছেন। সামনে শুরু হবে টেস্ট সিরিজ। এরপর সুযোগ ছিল ইংল্যান্ডের ১০০ বলের টুর্নামেন্ট দ্য হান্ড্রেডের কিছু ম্যাচ খেলার।
সেখানেও পুরো খেলতে পারতেন না, কারণ সেপ্টেম্বরে সাত ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাকিস্তান সফর করবে ইংলিশরা। তারপরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
লাহোর ও করাচিতে ইংল্যান্ড-পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি
শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপ থেকে ফিরেও হাফ ছাড়ার উপায় নেই। এরপর দক্ষিণ আফিকা, নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশেও সফর করবে ইংল্যান্ড। যেহেতু ইংলিশদের হয়ে তিন ফরম্যাটেই নিয়মিত খেলেন বেয়ারস্টো।
তাই ধকলটাও বেশি তার। এজন্যই এতসব ব্যস্ত সূচি দেখে বেয়ারস্টো রীতিমতো বাধ্য হয়েছেন হান্ড্রেড থেকে নাম প্রত্যাহার করতে।
হান্ড্রেডের এবারের আসরে ওয়েলশ ফায়ারের হয়ে মাঠে নামার কথা ছিল বেয়ারস্টোর। তবে নিজেকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য এবারের আসরে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
যদিও হান্ড্রেড থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করতে হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি। বলেন, “আমি সত্যিই হতাশ যে এই বছর দা হান্ড্রেড-এর অংশ হতে পারছি না। গতবছর খেলে দারুণ উপভোগ করেছি, তবে সামনের সময়টা বিরামহীন ব্যস্ততায় কাটবে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে তাই খানিকটা ফুরসত প্রয়োজন। ওয়েলশ ফায়ার ছেলে ও মেয়েদের দলের জন্য শুভ কামনা। ওদের হয়ে গলা ফাটাব আমি।”
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি