২০২৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করবে বাংলাদেশ। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা -আইসিসি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)-কে এ অনুমোদন দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) আইসিসি বোর্ড সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। সভা শেষে আইসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পাশাপাশি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। দীর্ঘ ১০ বছর পর আবারও এ টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুযোগ পেল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
২০২৪ সালের পর ২০২৬ সালের নারীদের টি-টোয়েন্টি আসর বসবে ইংল্যান্ড। ২০০৯ সালের পর এ টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুযোগ পেল ইংলিশরা।
এছাড়া একই দিনের সভায় নারীদের আরও দুটি বড় এভেন্টে স্বাগতিক দেশ চূড়ান্ত করা হয়েছে। ২০২৫ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০২৭ নারী আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক দেশ হলো যথাক্রমে ভারত ও শ্রীলঙ্কা।
২০২৪ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়ে আইসিসিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেছেন, “২০২৪ সালে আইসিসি ইভেন্টের পেয়ে বিসিবি গর্বিত। বিসিবির ওপর আস্থা রাখায় আইসিসিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।”
টুর্নামেন্টটি বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বিসিবির সিইও বলেন, “বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। এ টুর্নামেন্ট বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। বাংলাদেশ এ টুর্নামেন্ট আয়োজনে নিজেদের সামর্থ্যের সবটুকু দিবে।”
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বাংলাদেশে আয়োজিত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মোট ১০টি দেশ অংশ নিবে। পুরো আসরে ম্যাচ হবে ২৩টি। তবে ২০২৬ আসরে দলের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১২। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ওই আসরে ম্যাচের সংখ্যা হবে ৩৩।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর/আরএস