গলে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ৩৪২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ম্যাচে জিতেছে পাকিস্তান। এই জয়ে ব্যাট হাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন পাকিস্তানি ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক। চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪০৮ বল খেলে করেছেন ১৬০ রান। এতেই রেকর্ডবুকে উঠেছে আব্দুল্লাহ শফিকের নাম।
টেস্টের চতুর্থ ইনিংস মানেই বোলারদের আধিপত্য। সাম্প্রতিক সময়ে ভেঙেছে এই চিরায়িত রীতি। চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটারদের বড় রান সংগ্রহ যেন ব্যাটারদের জন্য মামুলি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবারও টেস্টের চতুর্থ ইনিংস দেখলো ব্যাটারদের সেই কৃতিত্ব।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাকিস্তানের করা এই কৃতিত্বের বেশিরভাগটুকুই আব্দুল্লাহ শফিকের প্রাপ্য। চতুর্থ ইনিংসে তিনি ৪০০ এর উপরে বল না খেললে হয়তো পাকিস্তানের জন্য এই লক্ষ্য তাড়া করা মোটেও সম্ভব হতো না।
চতুর্থ ইনিংসে দারুণ এই ইনিংসের পর রেকর্ড কর্ণারে আলাদা করে লেখা হয়েছে আব্দুল্লাহ শফিকের নাম। ২২ বছর বয়সী এই ওপেনার ক্রিকেট বিশ্বের পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে চতুর্থ ইনিংসে ৪০০’র অধিক বল খেলেছেন। এর আগে এই রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন যথাক্রমে, মাইক আথারটন, হার্বার্ট স্যাটক্লিফ, সুনীল গাভাস্কার ও বাবর আজম।
এক বিংশ শতাব্দীতে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ বল খেলা ক্রিকেটারদের তালিকাতে দুই নম্বরে অবস্থান করেছেন আব্দুল্লাহ শফিক। একবিংশ শতাব্দীতে মাত্র দুইজন ব্যাটার ৪০০ এর বেশি বল খেলেছেন। তারা হলেন- বাবর আজম (৪২৫) ও আব্দুল্লাহ শফিক (৪০২)। পরের দুই স্থানে আছেন ফ্যাফ ডু প্লেসিস (৩৭৬) এবং শোয়েব মালিক (৩৬৯)।
বল খেলার দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও সময়ের হিসেবে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন আব্দুল্লাহ শফিক। চতুর্থ ইনিংসে সবচেয়ে বেশি সময় ক্রিজে থাকার রেকর্ড এখন শফিকের দখলে।
দলকে জেতানোর পথে ৫১৭ মিনিট উইকেটে ছিলেন আব্দুল্লাহ শফিক। এর পরের স্থানগুলোতে আছেন অববিন্দু ডি সিলভা (৪৬০ মিনিট), মহিন্দর অমরনাথ (৪৪০ মিনিট), ইউনিস খান (৪২৮ মিনিট) ও জাস্টিন ল্যাঙ্গার (৪২৫ মিনিট)।
দক্ষিণ এশিয়ায় টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে দলকে জেতাতে তৃতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসটা খেলেছেন আব্দুল্লাহ শফিক। তার উপরে আছেন কাইল মায়ার্স (২১০*) ও ইউনিস খান (১৭১*)। মজার ব্যাপার হলো, শীর্ষে থাকা তিন ক্রিকেটারই অপরাজিত ছিলেন।
চতুর্থ ইনিংসে দলকে জেতাতে পাকিস্তানের হয়ে দ্বিতীয় সেরা ইনিংস খেলেছেন আব্দুল্লাহ শফিক (১৬০*)। তার উপরে আছেন ইউনিস খান (১৭১*)। তিনিও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়েছিলেন। পরের তিন স্থানে আছেন মোহাম্মদ ইলিয়াস (১২৬), শান মাসুদ (১২৫) ও মুদাসসর নজর (১০৬)।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর