বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কার্যক্রমে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হলো দেশের আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা। বিসিবি’র বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্লাব পর্যায়ে কাউন্সিলরশিপে আরও একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। এজিএমের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে প্রত্যেক ক্রিকেট ক্লাব থেকে একজন করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় এ দু’টি বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সাধারণ সভা শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বিসিবি সভাপতি বলেন, “এতদিন আমরা ঢাকা থেকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছি। ঢাকা থেকে আসলে বেশি দূরে যাওয়া যায় না। ঢাকা থেকে হয়তো বিভাগগুলোতে নজরদারী করা যেত। তবে এখন ঢাকা থেকে বিভাগে যাচ্ছি। জেলায় তো আমাদের আরও কম নিয়ন্ত্রণ ছিল। এখন এর কার্যক্রম শুরু হয়ে গেল।”
২০১৩ সালে সভাপতি হিসেবে বিসিবির দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের ক্রিকেটীয় ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। দীর্ঘদিন পরে হলেও এবারের সাধারণ সভার মধ্য দিয়ে তা আলোর মুখ দেখছে। বিসিবির এজিএমে আলোচিত আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠনের বিষয়ে অনুমোদন পাওয়ার পর কার্যত এখন আর কোনো বাধা থাকলো না।
আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার সদস্য নির্বাচন ও বাছাই সম্পর্কে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, “এখন থেকে আঞ্চলিক ক্রিকেট নিয়ে আমরা আরও ভালো করতে পারবো। আশা করছি, আমাদের (বিসিবি) পরবর্তী বোর্ড সভার আগেই কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে। এটা আমার আশা, তবে এর আগেও বা আরও পরেও হতে পারে। তবে আমি বলবো আগামী সভার আগেই কার্যক্রম শুরু হবে।”
ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল, রংপুর, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের কাউন্সিলর ও পরিচালকদের দিয়ে আটটি আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, “বড় বিভাগের জন্য ১৭ ও ছোট বিভাগের জন্য ১১ জন করে সদস্য থাকবে।”
বিভাগ ভিত্তিক কমিটি গঠন হলেও আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার সদস্য নির্বাচন ও বাছাইয়ের কাজ করবে বিসিবি নিজেই। বিসিবি সভাপতি বলেন, “আপাতত প্রাথমিক দিক নির্দেশনাটা বিসিবি‘ই তৈরি করবে। বিসিবিকে এই দায়িত্বটা দেওয়া হয়েছে।”
এছাড়া ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের প্রতিটি দলকে এখন থেকে একটি করে কাউন্সিলরশিপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১৩ সালের সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগের ছয়টি দল থেকে দু’জন এবং বাকি ছয় দল থেকে একজন করে বিসিবির কাউন্সিলর হতে পারলে এখন তা আর থাকছে না। প্রথম বিভাগে অংশগ্রহণকারী ২০টি ক্লাবের প্রত্যেকটি থেকে এখন একজন করে কাউন্সিলর হতে পারবেন।
নাজমুল হাসান পাপন বলেন, “বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন এমন একটা জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে, ক্লাবগুলোর প্রত্যেকটিকে একটি করে কাউন্সিলরশিপ দিলে কারও কোনো ক্ষোভ থাকার কথা না। বরং সবার খুশি হওয়ার কথা। ওখানে (এজিএম) যারা ছিল, প্রত্যেকেই এটাকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে যাদের কাউন্সিলরশিপ কমেছে, তারা তো সন্তুষ্ট হওয়ার কথা না।”
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস