আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটার লেন্ডল সিমন্স। ইনস্টাগ্রামে নিজের ব্যবসায়িক একাউন্ট থেকে দেওয়া পোষ্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
এর আগে শুক্রবার (১৫ জুলাই) ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে নিজের অবসরের কথা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও চালিয়ে যাবেন ঘরোয়া ও ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সিমন্সের পথচলা ১৬ বছরের। ২০০৬ সালের পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় সিমন্সের। এই ফরম্যাটে ৬৮টি ম্যাচ খেলেছেন সিমন্স। যেখানে দুই সেঞ্চুরি ও ১৬ হাফ সেঞ্চুরিতে তার সংগ্রহ ১৯৫৮ রান।
ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দিয়ে। ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলার দক্ষতার কারণে বিশ্বের নানা ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে সিমন্সের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে মুম্বাইয়ের হয়ে দুইবারের (২০১৫ ও ২০১৭) শিরোপা জয়ী দলেও ছিলেন তিনি। মুম্বাইয়ের হয়ে ২৯ ইনিংসে ১০৭৯ রান করেছেন সিমন্স।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন রামদিন
ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিজস্ব ফ্রাঞ্চাইজি লিগ ক্যারবিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (সিপিএল) সিমন্সের সাফল্যের পালা বেশ ভারি। সিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান (৯১ ইনিংসে ১৬২৯) সংগ্রাহক তিনি।
জাতীয় দলের হয়ে এই ফরম্যাটে ৬৮টি ম্যাচ খেলেছেন সিমন্স। যেখানে ৯ হাফ সেঞ্চুরিতে সিমন্সের সংগ্রহ ১৫২৭ রান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাকি দুই ফরম্যাটের তুলনায় সাদা ক্রিকেটের ক্যারিয়ার বড্ড সাদামাটা সিমন্সের।! মাত্র আট টেস্টেই শেষ হয়েছে তার টেস্ট ক্যারিয়ার। যেখান কোনো হাফসেঞ্চুরি নেই, রান করেছেন ২৭৮।
২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ৫১ বলে ৮২ রানের ইনিংসটা তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে অন্যতম সেরা ইনিংস। একা হাতে ভারতকে হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ফাইনালে উঠিয়েছিলেন তিনি।
ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়েই প্রথম দল হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর আগে গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের আরেক উইকেটরক্ষক দীনেশ রামদিনও অবসর নিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি