এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ নিয়ে নাটক যেন শেষই হচ্ছে না। এবার শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) সচিব মোহন ডি সিলভা জানালেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
সূচী অনুযায়ী শ্রীলঙ্কায় হওয়ার কথা এবারের এশিয়া কাপ। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতায় বেশ কয়েকবারই শ্রীলঙ্কা থেকে এশিয়া কাপ সরে যাওয়ার গুঞ্জন উঠেছে।
তবে প্রত্যেকবারই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট থেকে জানানো হয়েছে, দেশের অবস্থা যাই হোক এশিয়া কাপ আয়োজন করতে তারা আত্মবিশ্বাসী। তবে এবার আত্মবিশ্বাসে ফাটল ধরেছে তাদের। সে কারণেই এসএলসির সচিব মোহন ডি সিলভা বলছেন, “সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।”
যদিও দেশজুড়ে চলা সহিংসতা ও সরকার বিরোধী আন্দোলনের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলেছে শ্রীলঙ্কা। এমনকি বর্তমানে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট খেলছে তারা।
দেশে ফিরলে মাহমুদউল্লাহ’র সাথে বসবেন নাজমুল হাসান
তবে দ্বিপাক্ষিক দেশ আর বহুজাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে বলে মনে করেন মোহন ডি সিলভা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই’কে তিনি বলেন, "দুই দলকে আতিথেয়তা দেয়া আর দশ (৯) দলকে আতিথেয়তা দেয়া এক নয়। আপনাকে তাদের সবার জন্য জ্বালানিসহ বাস সরবরাহ করতে হবে। প্রতিটি দলকে জ্বালানিসহ একটি লাগেজ ভ্যান দিতে হবে এবং পরিচালকদের জন্য পরিবহন দিতে হবে।"
নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করা লঙ্কাদীপে এখন জ্বালানি তেলের সংকট চরমে উঠেছে। এমনকি সংবাদ বেড়িয়েছে, অনেক ক্রিকেটার জ্বালানির অভাবে নিজেদের গাড়ি নিয়ে অনুশীলনে পর্যন্ত যেতে পারছে না।
আর সেটা নিয়েই আতঙ্কিত শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট তাই এশিয়া আয়োজন করতে আপারগতা জানিয়েছে। "আপনাকে স্পন্সরদের জন্য পরিবহন দিতে হবে এবং এটা নিশ্চিত করতে হবে যে তারা যেন স্পন্সর থেকে সকল ধরনের সুবিধা পায়। ফ্লাডলাইট জ্বালানোর জন্য আপনাকেও জ্বালানিও খুঁজে বের করতে হবে" যোগ করেন ডি সিলভা।
দেশের মানুষের এখন ক্রিকেট দেখার প্রতি খুব একটা আগ্রহ নেই বলেই মত ডি সিলভার, সে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হলেও! আর শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশীরাও খুব একটা আগ্রহ পাবেন না দ্বীপরাষ্ট্রে যেতে।
২০২৩ বিশ্বকাপ সিনিয়র চারজনের জন্য বিশেষ কিছু: তামিম
ডি সিলভা আরও বলেন, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দুটি ম্যাচ রয়েছে। সেখানে এমন মানুষ থাকবে যারা কিনা এমন ম্যাচগুলো দেখতে ভ্রমণ করতে চায়। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে মানুষ শ্রীলঙ্কায় ভ্রমণ করতে খুব বেশি আগ্রহী নাও হতে পারে।”
পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ বাতিল করে শ্রীলঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ (এসএলপিএল) আয়োজন করেছিল তারা। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতায় সেটাও স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি