ডোপ টেস্টে উতরাতে না পারায় সবধরনের ক্রিকেট থেকে ১০ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশি পেসার শহিদুল ইসলাম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) এক বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছে, অ্যান্টি ডোপিং আইনের ২.১ ধারা ভাঙায় তাকে সবধরনের ক্রিকেট থেকে ১০ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মূলত ক্লোমিফিন নামক নিষিদ্ধ দ্রবের উপস্থিতির কারণে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির নিয়ম অনুযায়ী এই ক্লোমিফিন একটি নিষিদ্ধ দ্রব্য। এই নিষিদ্ধ দ্রবের উপস্থিতির কারণে তাকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। তবে এটি পারফর্মেন্স বর্ধক হিসেবে নেননি শহিদুল ইসলাম। সেই বিষয়টিও আইসিসি জানিয়েছে।
চলতি বছরের ৪ মার্চ ঢাকায় এই ডোপ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন শহিদুল ইসলাম। সেই নমুনায় নিষিদ্ধ ক্লোমিফিন নামক নিষিদ্ধ দ্রব্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়। তাই তাকে ১০ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ চলতি বছরের ২৮ মে থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে আইসিসি। সেই অনুযায়ী ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ শেষ হবে তার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ।
বর্তমানে ক্যারিবিয়ান সফরে বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে স্কোয়াডে ছিলেন শহিদুল ইসলাম। বাংলাদেশ দলের ক্যারিবিয়ান সফরে তিনি একটি ম্যাচেও মাঠে নামার সুযোগ পাননি। অবশ্য ক্যারিবিয়ান সফরের শেষ ম্যাচেও মাঠে নামতে পারবেন না ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ায়।
আইসিসি তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, শহিদুল ইসলাম ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলেও তিনি আইসিসিকে নিজের অবস্থান বোঝাতে পেরেছেন। এমনকি তিনি পারফর্মেন্স বৃদ্ধির জন্য ক্লোমিফিন নেননি বলেও জানিয়েছেন। এই কারণেই তাকে ১০ মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইসিসি।
নিষেধাজ্ঞায় থাকাকালীন ঘরোয়া কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো ধরনের ক্রিকেটই খেলতে পারবেন না ২৭ বছর বয়সী এই পেসার। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে তাকে মাঠে দেখা যাবে।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর