দীর্ঘদিন ভারতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন রবি শাস্ত্রী। ভারতকে অসংখ্য সাফল্য এনে দিলেও কোনো শিরোপা জেতাতে পারেননি এই কোচ। দায়িত্ব ছাড়ার প্রায় বছর খানিক সময় পর শাস্ত্রী জানালেন, ভুলক্রমে তার কাছে এসেছিল ভারতের দায়িত্ব।
২০১৭ সালে হঠাৎ করেই ভারতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পান রবি শাস্ত্রী। এরপরে প্রায় চার বছর ভারতীয় দলের দায়িত্ব সামলেছেন। তার অধীনে ভারত অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে জিতেছিলেন টেস্ট সিরিজ। তাও একবার নয়, পর পর দুইবার। তাসমান পাড়ের আরেক দেশ নিউজিল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তাদের মাটিতেই ধবল ধোলাই দিয়েছিল ভারত।
তবুও রাহুল দ্রাবিড় শাস্ত্রীকে জানিয়েছিলেন, তিনি ভুলক্রমে ভারতের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। এমনকি সেই সময় ভারতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার সবচেয়ে যোগ্য ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়।
এই বিষয়ে শাস্ত্রী বলেন, “আমার থেকে দায়িত্ব নেয়ার জন্য রাহুলের থেকে যোগ্য ব্যক্তি আর কেউ ছিল না। ভুল করে কোচের চাকরি পেয়েছিলাম, সেটা আমি রাহুলকে বলেছিলাম। আমি ধারাভাষ্য কক্ষে ছিলাম। হঠাৎ আমাকে সেখানে যেতে হলো এবং আমি কাজটি করলাম।”
ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ দলের পর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির (এনসিএ) হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। এরপরেই ভারতীয়ের দলের প্রধান গুরুর দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছেন রাহুল।
ঠিক এই কারণেই রাহুল ভারতীয় দলকে কোচিং করানোর যোগ্য বলে মনে করেন রবি শাস্ত্রী। বলেন, “রাহুল এমন একজন যে একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে এসেছে। সে কঠিন কাজ করেছে। সে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ ছিল। তার পর জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছে। আমার মনে হয় দল সাড়া দিলে সে এটা উপভোগ করবে।”
বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ভারতে ক্রিকেটীয় আবেগের দাম অনেক বেশি। ক্রিকেটার কিংবা কোচদের নিয়ে কাটাছেড়া অনেক বেশি হয়। এরপরেও এতো দায়িত্ব পালন করে যেতে পারায় বেশ খুশি রবি শাস্ত্রী।
বলেন, “আমি ভেবেছিলাম এটি ফলপ্রসূ হবে। এটা অকৃতজ্ঞ একটা কাজ হতে পারে কারণ আপনি আপনার জীবনের প্রতিটা দিন ১.৪ বিলিয়ন মানুষের দ্বারা কাঁটাছেঁড়া করে। আড়ালের কিছু নেই, লুকানোর কিছুও নেই।”
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর