দক্ষিণ অাফ্রিকার সফরে তিন ফরমেটেই হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। টেস্ট ও ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেল টাইগাররা। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের হারটাও ৮৩ রানের।
ডেভিড মিলারের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ভর করে বাংলাদেশের সামনে ২২৫ রানের জয়ের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাব দিতে নেমে একশ রান না তুলতেই ৭ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। শেষদিকে সাইফউদ্দিনের ২৩ রানে কোনোমতে ১৪১ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছে টাইগাররা।
ইনিংসের শুরুতেই আউট হয়ে ফিরেন ইমরুল কায়েস আর সাকিব আল হাসান। ইমরুল ৬ রান করে রানআউটে কাটা পড়েন। মাত্র ২ রান করে জেপি ডুমিনির বলে বোল্ড হন দলপতি সাকিব আল হাসান।
এরপর মুশফিকুর রহিমও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক করেন ২ রান। আশা জাগিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে হাফসেঞ্চুরিরি দোঁড়গোড়ায়ও পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আরও একবার আক্ষেপ নিয়েই ফিরতে হয় এই ওপেনারকে।
২৭ বলে ৪৪ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলে অ্যারন ফ্যাঙ্গিসোর বলে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন সৌম্য। এই ইনিংসে ৬টি চার আর একটি ছক্কা মারেন তিনি। সাব্বির রহমান ৫ আর লিটন দাস করেন ৯ রান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২০ বলে ২৪ রান করে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন।
এর আগে, শেষ দিকে এসে এক ওভারে টানা পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা হজম করেন বাংলাদেশী পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তাকে এমন লজ্জায় ডুবান ডেভিড মিলার। শেষপর্যন্ত ৩৬ বলে ১০১ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন মিলার।
সেঞ্চুরির খুব কাছেই চলে এসেছিলেন হাশিম আমলাও। শেষপর্যন্ত তাকে ৮৫ রানে ফেরান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ভয়ংকর এবি ডি ভিলিয়ার্সকেও সাজঘরের পথ দেখিয়েছিলেন বাংলাদেশের তরুণ এই অলরাউন্ডার।
ম্যাঙ্গালিসো মোসেলে আর জেপি ডুমিনিকে বোল্ড করে বাংলাদেশ শিবিরকে উচ্ছ্বাসে ভাসান সাকিব আল হাসান। হাশিম আমলার সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ২৩ রান তোলা মোসেলে করেন ৫ আর ডুমিনি করেন ৪ রান। সবমিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ৪ উইকেটে ২২৪ রান।
পচেফস্ট্রমে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টসে জিতে ফিল্ডিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলে একটি পরিবর্তন নিয়ে নামে। আগের ম্যাচে যাচ্ছেতাই বোলিং করা পেসার শফিউল ইসলামের জায়গায় সুযোগ পান উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন দাস।