নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের তিনটিতেই দাপট দেখিয়ে জিতেছে ইংল্যান্ড। আইসিসির সহযোগী দেশটিকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশকে টপকে উঠেছে ওয়ানডে সুপার লিগের শীর্ষে।
ইংলিশদের বিপক্ষে এবারই প্রথম দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নেমেছিল নেদারল্যান্ডস। প্রথম সিরিজেই ইংলিশ দুঃস্বপ্ন দেখে ফেললো তারা। তিন ম্যাচের তিনটাতেই বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের কাছে নাকানি-চুবানি খেয়েছে ডাচরা।
তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে বুধবার (২২ জুন) আমস্টেলভিনে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে নেদারল্যান্ডস। শুরুতেই বিক্রমজিতের উইকেট হারালেও তিন নম্বর উইকেটে ৭২ রানের জুটি গড়েন ও'ডাওড ও টম কুপার। এরপর দুজনেই ৩০ রানের ব্যবধানে ফিরে গেলে চাপে পড়ে নেদারল্যান্ডস।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে ডে লেডে ও এডওয়ার্ডসের ৮৪ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের আশা দেখে সফরকারীরা। ডে লেডে করেন ৫৬ ও এডওয়ার্ডসের ব্যাট থেকে আসে ৬৪ রান। কিন্ত ৪০তম ওভারে তিন উইকেটে ২০৩ রান থেকে ব্যাটিং ধ্বসের শুরু হয়। শেষ ৪১ রানে সাত উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রানেই থেমে যায় ডাচদের ইনিংস।
টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের উন্নতি ১৪ ধাপ
মাঝারি রান তাড়া করতে নেমে কোনো সমস্যায় হয়নি ইংলিশদের। ওপেনিং জুটিতেই ম্যাচের গতিপথ তৈরি করে দেন জেসন রয় ও ফিলিপ সল্ট। দশম ওভারে সল্ট আউট হয়ে গেলে ভাঙে ৮৫ রানের ওপেনিং জুটি।
তিনে নামা ডেভিড মালান শূন্য রানে ফিরে গেলে উইকেটে আসেন অধিনায়ক জস বাটলার। নিয়মিত অধিনায়ক ইয়ন মরগানের অনুপস্থিতিতে এদিন জস বাটলারকে অধিনায়কত্বের ভার দেওয়া হয়েছিল।
আগের দুই ম্যাচের মতো এদিনও ব্যাট হাতে শুরু থেকেই কচুকাটা শুরু করেন তিনি। অন্যপ্রান্তে জেসন রয় তো ইনিংসের প্রথম থেকেই ডাচ বোলারদের উপর তান্ডব চালাচ্ছিলেন।
সিরিজে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করেন জেসন রয়। ৮৬ বলে ১৫ চারে ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অন্য প্রান্তে মাত্র ৬৪ বলে ৮৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন বাটলার। অবিচ্ছিন্ন ১৬৩ রানের জুটিতে ৩০.১ ওভারেই জয় নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড
এই জয়ে ওয়ানডে সুপার লিগের পয়েন্ট তালিকায় বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে শীর্ষে উঠে গেছে ইংল্যান্ড। ১৮ ম্যাচে ইংলিশদের পয়েন্ট ১২৫, সমান ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট ১২০। ১৬ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট সবার নীচে রয়েছে নেদারল্যান্ডস। এছাড়া ভারতের সংগ্রহ ১২ ম্যাচে ৭৯, অস্ট্রেলিয়ার ১২ ম্যাচে ৭০।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি