রাজনৈতিক বৈরিতায় ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয়না নয় বছর। একমাত্র আইসিসি ইভেন্ট ছাড়া দুই দলকে মুখোমুখি হতে দেখার সুযোগ হয় না ক্রিকেটপ্রেমীদের। সেখানে দুই দলের ক্রিকেটাদের একই দলে খেলার দৃশ্য তো অবিশ্বাস্য! তবে আনন্দের খবর, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল চেষ্টা করছে অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য। তারা সফল হলে বাবর আজম-বিরাট কোহলিদের আবার একই দলে খেলতে দেখা যেতে পারে।
ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম রোমাঞ্চকর লড়াই হিসেবে পরিচিত ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ। ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। ছিল বলতে হচ্ছে কারণ, দুই দেশের রাজনৈতিকভাবে বিরুপ সম্পর্কের কারণে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ হয়ে আছে। সর্বশেষ ২০১২-১৩ সালে ভারতের মাটিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছিল দেশ দু'টি।
২০০৮ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) পর আর কোনো পাকিস্তানী ক্রিকেটার আইপিএলে খেলার সুযোগ পাননি। ভারতের কোনো ক্রিকেটারও পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলেন না। সুতরাং এক দলে খেলা তো আরও অসম্ভব ব্যাপার।
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল চেষ্টা করছে ‘আফ্রো-এশিয়ান’ কাপের আয়োজন করার। যদি তারা সফল হয় তাহলে আবারও একই দলের জার্সিতে দেখা যাবে ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের।২০২৩ জুন-জুলাইয়ে অনুষ্টিত হতে পারে এই ম্যাচ।
চলতি বছরের জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সাধারণ সভায় এই ম্যাচ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। যদিও এখনও নিশ্চিত নয়, তবে আশাবাদী এসিসি। এখনো বোর্ডগুলোর কাছ থেকে এ ম্যাচে আয়োজনের জন্য নিশ্চয়তা পায়নি এসিসি। তবে তারা আশাবাদী ‘আফ্রো-এশিয়া’ কাপ ম্যাচ আয়োজেনের ব্যাপারে।
এসিসির কমার্শিয়াল অ্যান্ড ইভেন্ট বিভাগের প্রধান প্রভাকরণ থানরাজ বলেন, “আমরা এখনো বোর্ডগুলো থেকে নিশ্চয়তা পাইনি। আমরা এখনো এগুলো নিয়ে কাজ করছি এবং খুব দ্রুত বোর্ডগুলোর কাছে এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠাবো।”
এসিসি চায়, ভারত-পাকিস্তানের সেরা ক্রিকেটারদের নিয়েই ম্যাচ আয়োজন করতে। এ বিষয়ে বোর্ডগুলো নিশ্চয়তা দিলেই তোড়জোড় শুরু করে দেবে তারা। বলেন, “আমার পরিকল্পনা হচ্ছে, ভারত-পাকিস্তানের সেরা ক্রিকেটারদের নিয়ে এশিয়ান একাদশ সাজানো। আমাদের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হওয়া মাত্রই স্পন্সরশীপ ও ব্রডাকাস্টারদের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিব।”
সর্বশেষ ‘আফ্রো-এশিয়া’ কাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৭ সালে। মাত্র দুইবারই হয়েছে এ ম্যাচ। প্রথমবার ২০০৫ সালে এ ম্যাচের আয়োজন করেছিল এসিসি।
সর্বশেষ এ ম্যাচে পাকিস্তান থেকে একাদশে ছিলেন ব্যাটার মোহাম্মদ ইউসুফ। ভারত থেকে সৌরভ গাঙ্গুলী, এম এস ধোনি, শ্রীলঙ্কা থেকে মাহেলা জয়াবর্ধনের মতো ক্রিকেটাররা অংশ নিয়েছিলেন। বাংলাদেশ থেকে মোহাম্মদ রফিক ও মাশরাফি বিন মুর্তজাও ছিলেন এশিয়ান একাদশে। ৩ ম্যাচের সিরিজে সবকটিতে জয় পেয়েছিল এশিয়ান একাদশ।এর আগে ২০০৫ সালে শাহীদ আফ্রিদি, ইনজামামুল হক, শোয়েব আক্তারের, আসিফদের মতো ক্রিকেটাররাও খেলেছেনে এশিয়ান একাদশের হয়ে।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি