দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন পাকিস্তানি ব্যাটার শান মাসুদ। কাউন্টি ক্রিকেটে ব্যাট হাতে ছুটিয়েছেন রানের ফোয়ারা। যার দরুণ মোহাম্মদ ইউসুফ, মোহাম্মদ হাফিজ ও মিসবাহ-উল-হক সহ বিভিন্ন খেলোয়াড়দের কাছ থেকে প্রচুর প্রশংসা পেয়েছেন। তবে জাতীয় দলে কোনো ফরম্যাটেই জায়গা হয়নি তার।
পাকিস্তানি গণমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তানের সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলেন মাসুদ। সেখানেই জানিয়েছেন, দলের জন্য যেকোনো ফরম্যাটে যেকোনো পজিশনে খেলতে রাজি তিনি। নিজেকে ফরম্যাটের গণ্ডির ভিতর আটকে রাখতে চান না এই বাঁহাতি ব্যাটার। ব্যাটিং জাদু ছড়িয়ে দিতে চান সর্বত্র।
মাসুদ বলেন, ‘আমি চার নম্বর পজিশনেই ঘরোয়া ক্যারিয়ার শুরু করি। পিএসএলে আমি ওয়ান-ডাউনে ব্যাট করেছি। মিকি আর্থারের অধীনে আমি টেস্ট ম্যাচেও ওয়ান-ডাউন খেলেছি। এটা সবই দেখার বিষয়। দলের প্রয়োজনে আমি আমার খেলায় পরিবর্তন আনতে ইচ্ছুক। নিজেকে কোনো গণ্ডিতে আটকাতে চাই না।’
জাতীয় দলের খেলা না থাকলেও নিয়মিতই ক্রিকেট খেলে নিজেকে শানিয়ে নিচ্ছেন শান মাসুদ। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমি আমার সমস্ত সময় ক্রিকেট খেলায় ব্যয় করছি। চার দিনের ম্যাচ থেকে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পর্যন্ত একটি দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি আমার সময়টি পুরোপুরি উপভোগ করছি।’
কাউন্টিতে শান মাসুদকে ডার্বিশায়ারের অধিনায়ক মনোনীত করা হয়েছিল। ওয়াসিম আকরামের পর মাসুদই একমাত্র পাকিস্তানি যিনি ইংলিশ কাউন্টিতে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। মাসুদের কাছে এই ব্যাপারটা বেশ সম্মানের। তিনি বলেন, ‘কাউন্টি দলের অধিনায়ক হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। এটি একটি বিশাল সম্মান।’
শান মাসুদের চোখে আইপিএলের পরেই নিজে দেশের পিএসএল বেশ এগিয়ে। সেটা কোন দৃষ্টিকোণ থেকে তাও ব্যাখা করলেন এ ব্যাটার। তিনি বলেন, ‘আইপিএলের পরে, আমি মনে করি পিএসএল হওয়া উচিত। টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট প্রতি দলে মাত্র ২ জন আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় রয়েছে। বিপরীতে পিএসএলে প্রতিটি দলে প্রায় ৮/৯ জন আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় রয়েছে। যা দলকে ভিন্ন মাত্রা এনে দেয়।’
কাউন্টিতে একটি নতুন রেকর্ড গড়ার কাছাকাছি গিয়েছিলেন মাসুদ। তবে এক মৌসুমে ১০০০ রানের রেকর্ড ছুঁতে পারেননি। তাতে অবশ্য মাথা ব্যথা নেই তার। তার লক্ষ্য হলো নিজের খেলায় উন্নতি করা।
মাসুদ বলেন, ‘আমার কোনো রেকর্ড ভাঙার কোনো ইচ্ছা ছিল না। আমার লক্ষ্য ছিল ইংল্যান্ডে এসে খেলার উন্নতি করা, নিজেকে মূল্যায়ন করা এবং কন্ডিশনে অভ্যস্ত হওয়া। আপনি যখন ভালো খেলবেন, তখন রান এমনিতেই আসতে থাকবে। ব্যাপারটা ধারাবাহিকভাবে হতে থাকে।’
ইংলিশ কাউন্টির খেলার মান নিয়ে প্রশংসা ঝরেছে এই পাকিস্তানির কন্ঠে। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, ইংলিশ কাউন্টির মান আন্তর্জাতিক মঞ্চে যেমন পাবেন তেমনই।’
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি