ব্যাট হাতে দীর্ঘ দিন নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারা জাতীয় দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি এবার ফিরলেন। জ্যোতির পর মুক্তা রবীন্দ্রর তাণ্ডবে বড় সংগ্রহ গড়ে আবাহনী লিমিটেডকে হারালো রূপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদ। ব্যাট হাতে ৮৩ রানে ইনিংসে জ্যোতি ভিত্তি গড়ে দেওয়ার পর মুক্ত খেলেন ঝড়ো ব্যাটে ৮০ রানের ইনিংস।
সোমবার (৬ জুন) মেয়েদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২৪৬ রানের পুঁজি গড়ে রূপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদ। জাবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৬০ রানে গুটিয়ে যায় আবাহানী। ফলে ৮৬ রানে জয় তুলে নেয় রূপালী ব্যাংক।
ম্যাচ জিতলেও শুরুতে ভালো করতে পারেনি রূপালী ব্যাংক। ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় তারা। এরপর শুরুর ধাক্কা সামাল দেন ফারজানা হক পিংকি ও নিগার সুলতানা জ্যোতি। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৭৬ রানের জুটি।
৩৮ রান করা পিংকি কট বিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফিরলে মুক্তার সঙ্গে জুটি গড়েন নিগার সুলতানা। ১০৮ বলের তাদের জুটি থেকে আসে ১১৯ রান। ১০১ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন জ্যোতি। অন্যদিকে, ৫৩ বলে ফিফটি স্পর্শ করে মুক্তা। আসরে দু’জনেরই এটি দ্বিতীয় অর্ধশত রানের ইনিংস।
ইশমা তানজিমের বলে মুক্তা স্টাম্পড হয়ে সাজঘরে ফিরলে তাদের জুটি ভাঙে। আর ইনিংসের ৪৯তম ওভারে সাজঘরে ফিরে যান নিগার সুলতারা। এরপর শেষ দিকে ১৩ বলে ২০ রান করেন শরিফা খাতুন। আবাহনীর হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন পেসার জাহানারা আলম ও হ্যাপি আলম।
জবাবে আবাহনীরও শুরুটা ভালো হয়নি। ১৮ রানে দুই উইকেট হারানোর পর এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলেন সুশমা। ৪৭ বলে ফিফটি স্পর্শ করার পর ৭১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তবে বাকি ব্যাটারদের মধ্যে আর কেউ হাল ধরতে পারেনি। ফলে হারের স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়। রূপালী ব্যাংকের হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন নাহিদা আক্তার, লাকি খাতুন ও শুকতারা। ম্যাচ সেরা হয়েছেন রূপারী ব্যাংকের মুক্তা রবীন্দ্র।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস