ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) স্বেচ্ছা আউট হয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের ভারতীয় তারকা রবিচন্দন অশ্বিন। দলের রানের গতি বাড়াতে নিজেকে আউট ঘোষণা করেন। এবার ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে একই কাণ্ড ঘটিয়েছেন দুই ব্যাটার কার্লোস ব্রেথওয়েট ও সামিত প্যাটেল।
রোববার (৫ জুন) ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ভাইটালিটি ব্লাস্টে মুখোমুখি হয়েছিল নটিংহ্যামশায়ার ও বার্মিংহাম বিয়ারস। এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে স্বেচ্ছায় আউট হন বার্মিংহামের অধিনায়ক কার্লোস ব্রাথওয়েট।
প্রথম ১০ বলে ১১ রান করা ব্রাথওয়েট ১১তম বলে ছক্কা হাঁকান। তবুও ব্যাট হাতে স্বস্তিতে না থাকায় প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। বৃষ্টির কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসায় ৮ ওভারে ৯৮ রানে থামে বার্মিংহামের ইনিংস।
ব্রাথওয়েটের বদলি হিসেবে নামা স্যাম হেইন অবশ্য ব্যাটিংয়ের সুযোগই পাননি। শেষ ওভারে অ্যালেক্স ডেভিসের ব্যাটিং ঝড়ে ১৮ রান তোলে বার্মিংহাম।
আইপিএলে ইতিহাসের প্রথমবারের মতো ‘স্বেচ্ছায় আউট’
৯৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অ্যালেক্স হেলসের ৯ বলে ৩০ ও বেন ডাকেটের ১৩ বলে ২২ রানের ঝড়ে জয়ের পথে এগিয়ে যায় নটিংহ্যামশায়ার। শেষ ওভারে তাদের জন্য দরকার ছিল ১৫ রান।
শেষ ওভারের প্রথম পাঁচ বলে ৯ রান তোলে নটিংহ্যামশায়ার। শেষ বলে তাদের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৬ রান। তবে ক্রেইগ মিলস অবৈধ ডেলিভারিতে ২ রান নেয় তারা। শেষ পর্যন্ত নটিংহ্যামের জয়ের জন্য শেষ বলে দরকার ছিল ৩ রান।
শেষ বলে দৌড়ে দুই রান নিয়ে ম্যাচ টাই করাটা সামিত প্যাটেলের জন্য বেশ কঠিন হয়েই দাঁড়াতো। তাই শেষ বলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান সামিত প্যাটেল।
তার বদলি হিসেবে নামেন ক্যালভিস হ্যারিসন। তবে সামিত প্যাটেলের বদলি হিসেবে নেমে শেষ বলে এক রান নেওয়ায় দলের জয় নিশ্চিত করতে পারেননি হ্যারিসন। শেষ পর্যন্ত এক রানের হার নিয়ে নটিংহ্যামশায়ারকে মাঠ ছাড়তে হয়।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তিনবার স্বেচ্ছা আউটের ঘটনা দেখা গেলো। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবশ্য একবারই এই স্বেচ্ছা আউটের ঘটনা ঘটেছিল। ২০০১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে এক ইনিংসে স্বেচ্ছা আউট হয়ে ফেরেন মাহেলা জয়াবর্ধনে ও মারভান আতাপাত্তু।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর