বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স বলেছেন, দীর্ঘদিন ওপেন করা তামিম ইকবাল চার নম্বরে খেললে ভালো করবেন। কোচের কথার একদিন পরেই মুখ খুলেছেন, টাইগার ওপেনার তামিম। সিডন্সের ওই মন্তব্যে তামিম বলেন, সিডন্সকে করা প্রশ্নটাই ছিল ‘স্টুপিড প্রশ্ন’।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকেই বাংলাদেশ দলের ওপেনিংয়ের অন্যতম ভরসা হয়ে আছেন তামিম ইকবাল। তাকে ছাড়া বাংলাদেশের ওপেনিং জুটির কল্পনা আসে না বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকরা।
স্বাভাবিকভাবেই তাকে চার নম্বরে খেলানোর পরামর্শ দেওয়ায় শোরগোলও তৈরি হয়েছিল। রোববার (৫ জুন) এর উত্তরে চার নম্বরে খেলা সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন টাইগারদের ওয়ানডে দলপতি তামিম ইকবাল।
তিনি বলেন, “আপনার কাছে কি মনে হয় আমার চারে ব্যাট করাটা ভালো, নাকি ওপেনিংয়ে? আমার কাছে মনে হয়, প্রশ্নটা যে ব্যক্তি করেছে, তার মাথার মধ্যে কি আছে না আছে...আমার কোনো ধারনা নেই। কিন্তু প্রশ্নটা ছিল খুবই স্টুপিড...। আমি নিজের কাছে চারে ব্যাটিং করার কোনো কারণই খুঁজে পাই না। ১৭ বছর ধরে আমি ওপেনিংয়ে ভালোই করছি।”
চার নম্বরে ব্যাট করলে তামিম ‘ফ্যান্টাস্টিক’ হতো: সিডন্স
২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৭০ ম্যাচে ৪২৮ ইনিংসেই ওপেন করেছিলেন তামিম ইকবাল। ক্যারিয়ারে একমাত্র একবারই ওপেনিং পজিশন ছেড়ে পাঁচ নম্বরে নেমেছিলেন তামিম ইকবাল। তাও ফিল্ডিংয়ের সময় ৪৯ মিনিট মাঠের বাইরে থাকায় ওপেনিংয়ে নামতে পারেননি তিনি।
অথচ সেই তামিমকেই চার নম্বরে ব্যাটিংয়ের পরামর্শ দিয়েছেন ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স। তামিমকে ব্যাটিং অর্ডারে নিচে নামিয়ে দিলে ওপেনিংও টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য বড় একটি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ অভিষেকের পর থেকে নিয়মিতই বদলেছে তামিমের ওপেনিং সঙ্গী। একপ্রান্তে তামিম স্থায়ী হলেও অপরপ্রান্তে নিয়মিতই বদল ঘটেছে।
শনিবার (৪ জুন) জেমি সিডন্স অবশ্য এখনই তামিমকে চার নম্বরে নামিয়ে দেওয়ার কথা বলেননি। বরং, ওপেনিংয়ে যোগ্য কাউকে পেলে তবেই চার নম্বরে খেলানোর কথা বলেছিলেন।
এই বিষয়ে সিডন্সের ভাষ্য ছিল, “তার আগে তো আরেকজন ওপেনার খুঁজে বের করতে হবে! ঘরোয়া ক্রিকেটে বা ‘এ’ দলে কিংবা টাইগার্সে পারফর্ম করেনি, এমন কাউকে স্রেফ ওপরে ঠেলে দিতে পারি না। এটাই চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্য। তামিমকে চারে নামাতে হলে আরেকজন ভালো ওপেনার লাগবে।”
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর