দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বেশ কয়েকবারই পক্ষপাতিত্বমূলক আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়েছিল বাংলাদেশ। এই সিরিজে আম্পায়ারিং দেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাগ ঝেড়েছিলেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এর কিছুদিন পরেই বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি জানিয়ে দিয়েছিল, বিশ্বজুড়ে কোভিড নিয়ন্ত্রণে আসায় টেস্টে ফিরবে নিরপেক্ষ আম্পায়ার। এর বাস্তবায়ন ঘটেছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার চট্টগ্রাম টেস্টে। এই ম্যাচ দিয়েই নিরপেক্ষ আম্পায়ারিংয়ে ফিরলো আইসিসি।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে স্থবির হয়ে পড়েছিল জনজীবন। এর মধ্যেই মাঠে দর্শকহীন মাঠে ফিরেছিল ক্রিকেট। এই সময় ভ্রমণ সমস্যা আর কোয়ারেন্টাইনবিধির কারণে টেস্ট ম্যাচ পরিচালনা করতে নিরপেক্ষ আম্পায়ার রাখার নিয়ম থেকে সরে আসে আইসিসি। ম্যাচ পরিচালনায় স্বাগতিক দেশের আম্পায়ারদের উপরই ভরসা রাখে।
কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসার পর এবার সেই নীতি থেকে সরে এসেছে আইসিসি। জানিয়ে দিয়েছিল, টেস্ট এখন থেকে এক প্রান্তে স্বাগতিক দেশের আম্পায়ার এবং বিপরীত প্রান্তে থাকবেন নিরপেক্ষ দেশের আম্পায়ার। আর টিভি আম্পায়ার হিসেবেও নিরপেক্ষ দেশের আম্পায়ার ফেরানোর ঘোষণা দিয়েছিল। চট্টগ্রামে বাংলাদশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়েই আইসিসি তাদের নতুন নিয়মের প্রচলন করলো।
অবশ্য কোভিড পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ দুই প্রান্তে নিজ দেশের আম্পায়ার ব্যবহারের সুযোগ পায়নি। আইসিসি এলিট প্যানেলে বাংলাদেশি কোনো আম্পায়ার না থাকায় এই সময়েও এক প্রান্তে নিরপেক্ষ আম্পায়ার রেখেছিল আইসিসি। তবে চট্টগ্রাম টেস্ট থেকে এক প্রান্তে নিরপেক্ষ দেশের আম্পায়ার রাখা আইসিসির নতুন নিয়মের মধ্যেই পড়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট দিয়ে এক প্রান্তে আইসিসি নিরপেক্ষ আম্পায়ারের নীতিতে ফিরেছে। এই ম্যাচে মাঠে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রিচার্ড কেটেলবার্গ এবং শরফুদৌল্লা ইবনে সৈকত। আর টিভি আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোয়েল উইলসন। ম্যাচ রেফারি হিসেবে ইংল্যান্ডের ক্রিস ব্রড।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজের আগে সর্বশেষ দুই প্রান্তে স্বাগতিক দেশের আম্পায়ার ম্যাচ পরিচালনা করেছিল টাইগারদের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। ওই সফরে দুই ম্যাচেই দায়িত্ব পালন করেছিল প্রোটিয়া দুই আম্পায়ার। এই সিরিজে বেশ কয়েকটি পক্ষপাতিত্বমূলক আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়েছিল বাংলাদেশ। আর এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর