কয়েকদিন আগে পাকিস্তান জাতীয় দলের অধিনায়ক বাবর আজম ও কোচ সাকলাইন মুশতাক কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বাড়ানো নিয়ে কথা বলেছিলেন। তার ভিত্তিতেই চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের নিয়ে আলোচনায় বসে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। লালা ও সাদা বলের জন্য আলাদা চুক্তি নীতি চালু করার কথা ভাবছে তারা।
শুক্রবার (১৩ মে) সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় এমনটাই জানিয়েছেন পিসিবি মিডিয়া পরিচালক সামি-উল-হাসান বার্নি। তিনি বলেন যে, কেন্দ্রীয় চুক্তির বিষয়ে গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তগুলো আগামী মাসে ঘোষণা করা হবে।
জানা গেছে, বৈঠকে লালা ও সাদা বলে আলাদা চুক্তি নিয়েও কথা হয়েছে। এই নতুন নীতি অনুযায়ী ক্রিকেটাররা যে ফরম্যাটে খেলবেন সেই ফরম্যাট অনুযায়ী তাদেরকে পারিশ্রমিক দেওয়া হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বাবর আজম লাল ও সাদা বলের ক্রিকেট খেললে সে দুই ফরম্যাটের টাকা পাবে।
পাকিস্তান জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম হওয়ায় পিসিবিও বিষয়টা নিয়ে ভাবছে। অন্যন্যা দেশের সঙ্গে পারিশ্রমিকের এই ব্যবধান ধীরে ধীরে কমানো হবে বলেও জানিয়েছে।
অন্যদিকে, আগেই বলা হয়েছে অধিনায়ক বাবর আজম এবং প্রধান কোচ সাকলাইন মুশতাক বেতন বাড়ানোর কথা বলেছিলেন। তারা ২০ শতাংশ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। এটা নিয়েও ভাবছে পিসিবি।
আগে পিসিবির চুক্তিতে উদীয়মান ক্যাটাগরি নামের একটা বিভাগ ছিল। এই বিভাগে খেলোয়াড় ছিল মাত্র তিনজন। তাই এখানেও খেলোয়াড়ের সংখ্যা বাড়ানোর কথা ভাবছে তারা। এবার সংখ্যাটা বেড়ে সাত বা দশে যেতে পারে।
আরেকটা খবর হলো, পিসিবি বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটারদের জন্য একটি বিশেষ তহবিল গঠন করতে চাচ্ছে। যাতে তারা বিভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজি লিগের আয়ের দিকে কম মনোযোগ দেয় ও জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারে। তাদের ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করতেই এমন সিদ্ধান্ত।
এই তহবিলের নিয়মটা হলো, যদি কোনো খেলোয়াড়কে কোথাও থেকে খেলার প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং পাকিস্তান দলের ম্যানেজমেন্ট মনে করে যে তাকে বিশ্রাম দেওয়া উচিত। তখন লিগ না খেলতে দেয়ার ক্ষতিপূরণ বাবদ তাকে আর্থিক সহায়তা করা হবে। এতে পাকিস্তান ক্রিকেটের সম্পদ রক্ষা পাবে।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি