কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ডিভিশন ওয়ানের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে সারে এবং কেন্ট। ব্যাটিংয়ে নেমে সারের সব ব্যাটাররা মিলে স্কোরবোর্ডে তুলেছে ৬৭১ রানের বড় সংগ্রহ। পাহাড়সম সংগ্রহ হলেও সারের কোনো ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসেনি সেঞ্চুরি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেঞ্চুরি ছাড়া এটাই সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ডিভিশন ওয়ানের ম্যাচে কেন্টের ঘরের মাঠে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সারে অধিনায়ক ররি বার্নস। বাটিংয়ে নেমে দলটি আস্তে আস্তে বড় সংগ্রহের দিকে আগালেও কোন ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসেনি সেঞ্চুরি। উল্টো নার্ভাস নাইন্টিজে বিদায় নিয়েছেন তিন ব্যাটার। তিন নার্ভাস নাইন্টিজসহ সাত হাফ সেঞ্চুরিতে শেষ পর্যন্ত ৬৭১ রানে থামে সারের ইনিংস।
দলটির অধিনায়ক ররি বার্নস ৬৭১ রানে যখন ইনিংস ঘোষণা করেন, সেই সময়ই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেঞ্চুরিহীন সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ দাঁড় করায় সারে। অবশ্য কাউন্টি ক্রিকেটে নিজেদের রেকর্ডটাকেই আবারও নতুন করে লেখে দলটি।
সারের ইনিংসে মোট সাত ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে হাফ সেঞ্চুরি। ইনিংসে সর্বোচ্চ ৯৬ রান করেন ওলি পোপ। এই ব্যাটার ছাড়া বেন ফোকস এবং জেমি ওভারটনও নার্ভাস নাইন্টিজে কাটা পড়েছেন।
সারের হয়ে যে তিন ব্যাটার নার্ভাস নাইন্টিজে উইকেটে এসেছেন যথাক্রমে ৪, ৫ এবং ৬ নম্বর স্থানে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে টানা তিন ব্যাটারের নব্বইয়ের ঘরের কাটা পড়ার ঘটনাও এই প্রথম।
সেঞ্চুরিহীন সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের পুরাতন রেকর্ডের দখলদার ছিল নামিবিয়া। ২০১০-১১ মৌসুমে আইসিসি ইন্টারকন্টিনেন্টাল শিল্ডে উগান্ডার বিপক্ষে নামিবিয়া করেছিল ৬০৯ রান। নামিবিয়ার এই ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করেছিল ছয় ব্যাটার।
কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সেঞ্চুরি ছাড়ার এই রকম রানের পাহাড়ে চড়ার পূর্বের রেকর্ডটাও সারের দখলে। ২০০৫ সালে গ্লস্টারশায়ারের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ছাড়া ৬০৩ রান করেছিল। ওই ইনিংসে পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত আজহার মাহমুদের ব্যাট থেকে এসেছিল ৮৬ রান।
সারের সেঞ্চুরি ছাড়া সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড নিজেদের করে নেওয়ার দিনে প্রতিপক্ষ কেন্টও রেকর্ড বইয়ে পরিবর্তন এনেছে। টানা ৬ ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৫০০ এর বেশি রান দিলো রেকর্ড। এর আগে টানা ৫ ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৫০০ এর বেশি রান দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর