মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ দেখতে সময় লাগেনি অধিনায়ক মমিনুল হকের! নিউজিল্যান্ডে মাউন্ট মঙ্গানুইতে টেস্ট জিতে অধিনায়কত্বের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। এমনকি কিউইদের মাঠে ব্যাট হাতে রানে ফেরার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন এই ক্রিকেটার। তবে পরের সিরিজেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অধিনায়কত্ব এবং নিজের ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনায় পড়েন মমিনুল। অবশ্য অধিনায়কত্বের পুরোটা সময়জুড়েই এই সমালোচনা বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন টেস্ট অধিনায়ক।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের আগে আবারও মমিনুলের ফর্ম আর অধিনায়কত্ব নিয়ে উঠেছে কথা। সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে তার রানের ফেরার বিষয়টি! সাম্প্রতিক সময়ে রান না করলেও এই ক্রিকেটারের ব্যাটের দিকেই চেয়ে থাকবে পুরো বাংলাদেশ। কতটুকু প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন তিনি, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে!
অবশ্য ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সের বিশ্বাস, চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে রানে ফিরবেন মমিনুল হক। শুধু মমিনুল নন, অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের উপরও আস্থা রাখছেন এই অজি।
মমিনুলকে নিয়ে ব্যাটিং কোচ সিডন্স বলেন, “চট্টগ্রামে ৭টি সেঞ্চুরি আছে মমিনুলের। এ সপ্তাহে আরও দু’টি করার সুযোগ থাকছে, এটা তার প্রিয় ভেন্যু। আমরা তাকে ভালো করার জন্য প্রস্তুত করার চেষ্টা করছি। সেও খুবই আত্মবিশ্বাসী।”
দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজার মমিনুলের জন্মস্থান। আর চট্টগ্রাম তার বিভাগীয় শহর। সেই সূত্রে মমিনুলকে একরকম ঘরের ছেলেই বলা যায়। তাই হয়তো বঙ্গোপসাগরের তীরঘেষা সাগরিকার মাঠে নামলেই মমিনুলের ব্যাট থেকে আসে শুধুই রান।
মমিনুলের ক্যারিয়ারের দিকে তাকালেই দেখা যাবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়াম কতটা প্রিয় তার কাছে। তবে সাগরিকার মাঠে খেলা শেষ টেস্টে অবশ্য সেই প্রমাণ রাখতে পারেননি ৩০ বছর বয়সী এই ব্যাটার। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছিল মাত্র ৬ রান।
চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ১১ টেস্ট খেলেছেন মমিনুল হক। এই মাঠে ৭ সেঞ্চুরি আর ৬৬ দশমিক ৮৩ গড়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১২০৩ রান। তার পুরো টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩৪ দশমিক ২৩ শতাংশ রান করেছেন সাগরিকার মাঠেই। যেখানে পুরো টেস্ট ক্যারিয়ারে ৫১ টেস্টে ১১ সেঞ্চুরি এবং ৩৯ দশমিক ৪৮ গড়ে মমিনুল করেছেন ৩৫১৪ রান।
চট্টগ্রামের মাঠে মমিনুলের অসধারণ এই রেকর্ড সবাইকে আশাবাদী করছে। টাইগার সমর্থকদের আশা চট্টলার মাঠে ফর্মে ফিরবেন মমিনুল। কিন্তু, মমিনুলের সাম্প্রতিক ফর্ম তার পক্ষে কথা বলছে না।
সর্বশেষ আট টেস্টে টাইগার কাপ্তান দেখা পাননি কোনো সেঞ্চুরির। আর সময়ের হিসেবে বছর দেড়েক আগে ক্যারিয়ারে সর্বশেষ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন তিনি। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে মোটে দুই হাফ সেঞ্চুরি। সর্বশেষ ১৫ ইনিংসের মধ্যে ৯ বারই রানের দিক থেকে দুই অঙ্কের ঘর ছুতে ব্যর্থ মমিনুল। এমনকি সর্বশেষ তিন টেস্টে মমিনুলের রান মাত্র ৫০!
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর