দীর্ঘ দিন চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়ে অবশেষে পারিশ্রমিক পেতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) শরণাপন্ন হলেন শেখ রাসেল স্পোর্টস একাডেমির ৬ জন নারী ক্রিকেটার। বুধবার (১১ মে) মিরপুরের বিসিবি কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বরাবর চিঠি দিয়েছেন তারা। বিসিবির উইমেন্স উইং ম্যানেজার তৌহিদ মাহমুদ চিঠিটি গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়, ২০১৯ সালে ঢাকা ওমেন্স প্রিমিয়ার লিগে শেখ রাসেল স্পোর্টস পরিষদের হয়ে খেললেও চুক্তিবদ্ধ অনুযায়ী তারা টাকা পরিশোধ করেনি। বিভিন্ন সময় পাওনা পরিশোধের কথা বললেও এখনো তা দেওয়া হয়নি। বিষয়টি এর আগেও বিসিবির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকতার কাছে জানানো হলেও কোন সুরাহা হয়নি।
এবার ২০২২ সালের ঢাকা ওমেন্স প্রিমিয়ার লিগের আগে ক্লাবটি পক্ষ থেকে বকেয়া পরিশোধের ব্যবস্থা করলে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়গণ উপকৃত হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে কে কত টাকা পাবেন সেই তথ্যও উল্লেখ করা হয়েছে। বিসিবিকে দেওয়া চিঠির একটি কপি স্পোর্টসমেইল২৪-এর হাতেও এসেছে। সেখানে দেখা যায়, টাইপ করা চিঠির শেষ দিকে নামের পাশে টাকার অংক হাতে লিখে দেওয়া হয়েছে।
শেখ রাসেল স্পোর্টস একাডেমির কাছে ৬ জনের পাওনা টাকার পরিমাণ ৬ লাখেরও বেশি। চিঠির তথ্যানুযায়ী, সবচেয়ে বেশি দেড় লাখ টাকা পাবেন তাজিয়া আক্তার। খাদিুজাতুল কুবরা ১ লাখ ৩০ হাজার, শায়লা শারমিন ১ লাখ ১০ হাজার, তাহিন তাহেরা ১ লাখ, ইতি মন্ডল ৯৫ হাজার এবং রূপা রায় ৫৫ হাজার টাকা পাবেন।
এদিকে, খেলোয়াড়দের বকেয়া পরিশোধ না করেই দল গড়ছে শেখ রাসেল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট একাডেমি। বুধবার শেষ হওয়অ দলবদলে জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটার মুর্শিদা খাতুন ও সোবহানা মোস্তারিকে দলে ভিড়িয়েছে ক্লাবটি। এছাড়া ২০১৯ সালে সর্বশেষ প্রিমিয়ার লিগে খেলা রুমানা আহমেদ বকেয়া নিয়েও তৈরি হয়েছিল বিতর্ক।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস