ক্রিকেটে আগমনের পর থেকেই দুর্দান্ত গতিতে ছুটছিলেন বিরাট কোহলি। ম্যাচের পর ম্যাচ রান করার ধারাবাহিকতা দেখে অনেকেই তাকে শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে তুলনা করতেন। কিন্তু সময়ের সাথে বিবর্ন রূপ ধারণ করা কোহলির ব্যাটে এখন্ তীব্র রানখরা। এই ব্যাপারটা আগেই বুঝতে পেরেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার মোহাম্মদ আসিফ। তিনি বলেছিলেন, কোহলি কখনো শচীনের পর্যায়ে পৌছাতে পারবে না।
২০১৯ সাল থেকে কোহলির বাজে সময়ের শুরু। তখন থেকে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে একশো ম্যাচে একবারও সেঞ্চুরির ঘর ছুঁতে পারেননি কোহলি। আসিফের মতে, কোহলির এই রানখরার ব্যাপারটা প্রত্যাশিতই ছিল। ২০২১ সালে পাকিস্তানের একটি ইউটিউব চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন আসিফ।
সাবেক পাকিস্তানি পেসার বলেছেন, ‘কোহলি একজন নিচের দিকের খেলোয়াড়। তার ফিটনেসের কারণেই সে ভালো করছে। এত জিনিসটা তাকে সাহায্য করছে। যে মুহূর্তে সে পতনের মুখোমুখি হবে, আমি মনে করি না কোহলি আর ফিরে আসতে পারবে।’
শচীনের সাথে কোহলির তুলনা মানত্রে পারলেন না আসিফ। তার মতে কোহলি নয়, স্বদেশী বাবরের খেলা শচীনের মতো।
আসিফ বলেছেন, ‘আসলে বাবর একজন উপরের দিকের খেলোয়াড়। শচীনের মত হাত চলে ওর। তার ব্যাটের নড়াচড়া শচীনের মতোই সাবলীল। লোকে বলে কোহলি টেন্ডুলকারের চেয়ে ভালো। আমি অবশ্য সেটা বলবো না। বিরাট শচীনের কাছাকাছিও আসে না। এটা আমার মতামত।’
ভারতের নড়বড়ে পারফরম্যান্সের পর অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান বিরাট কোহলি। অধিনায়কত্বের চাপ থেকে মুক্ত হয়েও তার পারফরম্যান্সের উন্নতি হয়নি। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলমান সংস্করণে ৭ ইনিংসে ১৯ দশমিক ৮৩ গড়ে ১১৯ রান করেছেন কোহলি।
আসিফ আরও বলেন, ‘শচীন যেভাবে খেলতেন সেটা ছিল সবার উপরে। খুব কম লোকই তার খেলার কৌশলটি সম্পর্কে জানেন। শচীন তার কভার ড্রাইভ, ড্রাইভ পুল এবং কাটে খুব সাবলীল ছিলেন। নিঃসন্দেহে কোহলির স্ট্রোকও আছে। কিন্তু সেটা শচীনের মতো না।’
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি