পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দারুণ সব কাজ করে যাচ্ছেন রমিজ রাজা। পাকিস্তানের তৃণমূল ক্রিকেটকে আরও উন্নত করতে কয়েকদিন আগে পাকিস্তান জুনিয়র লীগ নামের ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক আসর শুরু করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। তবে শুরুতেই বোর্ড ও পিএসএল ফ্রাঞ্চাইজি মালিকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মতবিরোধ।
জানা গেছে, দুটি বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। যদিও নতুন আর্থিক মডেল গৃহীত হওয়ার পর স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। তবে পিএসএল-এর মতো পাকিস্তান জুনিয়র লিগের হিসাব চূড়ান্ত করতে বিলম্ব নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ ছড়িয়ে পড়েছে।
সূত্রের মতে, পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজার পাকিস্তান জুনিয়র লিগের ঘোষণা পিএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা মোটেও ভালোভাবে নেয়নি। তাদের মতে, পিএসএলের সাথে মিল রেখে অন্যান্য ইভেন্ট আয়োজনে পিএসএলের মর্যাদা ও ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষতি করবে।
এমনিকি জুনিয়র লিগ ঘোষণার সময়ও তাদেরকে কিছু জানানো হয়নি। এখন আপাতত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো এক হয়ে পিসিবি বরাবর একটি যৌথ বিবৃতি পাঠাবে। তারপর জানা যাবে জুনিয়র লিগের ভবিষ্যৎ কি হবে।
এর আগেও পিসিবি একটি প্রাইভেট লিগকে সমর্থন করেছিল। যেখানে প্রধান স্পন্সর একটি দল কিনেছিল, সাথে অন্য স্পন্সররাও যুক্ত হয়েছিল। তখন পিএসএল নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। তারা মনে করে জুনিয়র লিগেও একই ঘটনা ঘটলে পিএসএলের জনপ্রিয়তাও কমে যাবে।
অন্যদিকে, পিএসএলের পঞ্চম ও ষষ্ঠ আসরের হিসাব-নিকাশ এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি বোর্ড। রমিজ রাজা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিছেন যে, পিএসএলের সপ্তম আসর থেকে একেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ৯০ কোটি পাকিস্তানি রুপি করে লাভ করেছে।
তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের কাছে এটা মোটেও বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। তারা বলেন, যেহেতু হিসাবই এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি, তাহলে এত বড় অঙ্কের টাকা পাওয়ার বিস্তারিত তথ্য কীভাবে জানা যাবে।
লাহোর কালান্দার্সের সিইও সামিন রানা বলেন, ‘জুনিয়র লিগের প্রস্তাবটি দল মালিকরা ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। এখনো পিএসএলের পঞ্চম ও ষষ্ঠ আসরের হিসাব চূড়ান্ত হয়নি। পিসিবিকে খুব শীঘ্রই কিছু করতে হবে।’
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি