একজন ক্রিকেটারের প্রথম লক্ষ্যই থাকে দেশের হয়ে সাদা পোশাক গায়ে জড়িয়ে মাঠে নামা। টেস্ট ক্রিকেটের গুরুত্বটাই এমন। যে কারণে টেস্টকে বলা হয় রাজকীয় ফরম্যাট। টেস্টের জন্য ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগকে (আইপিএল) ‘না’ বলে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলার সাকিব মাহমুদ।
চলতি বছরের মার্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেক হয় সাকিবের। প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেই ছয় উইকেট তুলে নিয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী এই ফাস্ট বোলার। পুরনো বল রিভার্স সুইং করিয়ে চমকে দিয়েছিলেন সবাইকে।
সাদা পোশাকে দুর্দান্তভাবে যাত্রা শুরু করলেও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দারুণ সাকিব। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ইতোমধ্যে ১৯টি ম্যাচও খেলে ফেলেছেন তিনি। তাতে উইকেট নিয়েছেন ২১টি। সাকিবের এমন পারফর্ম্যান্সের সুবাদেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ্ চলাকালীন সময়েই ডাক পড়ে আইপিএলে।
তবে টাকার ঝনঝনানিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে পাঁচ দিনের ম্যাচকেই বেছে নিলেন এই তরুণ। লাল বলে নিজেকে আরও ঝালিয়ে নিতে ইংলিশ কাউন্টিতে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।
এই বিষয়ে সাকিব বলেন, ‘আমি ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে খেলার জন্য আইপিএলের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি। কারন, আমি লাল বলে নিজেকে আরও প্রমাণ করতে চাচ্ছিলাম। আমরা ক্যারিবিয়ানে থাকতেই আমি প্রস্তাব পেয়েছিলাম, তখনই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
সাকিবকে সাদা পোশাকে মনোযোগ দিতে উৎসাহিত করেছিলেন তারই সতীর্থ বেন স্টোকস। এ নিয়ে সাকিব বলেন, ‘যদি এটা আমার পছন্দ ছিল। তবে মজার ব্যাপার হলো, এই সিদ্ধান্তটি এসেছিল এক সকালে স্টোকস ও আমার মাঝে একটি আলোচনার মাধ্যমে।’
ব্যাপারটা খোলাসা করে সাকিব বলেন, ‘একদিন সকালে নাস্তার পর আমি স্টোকসকে জিজ্ঞেস করলাম যে, সে কেন আইপিএলে যায়নি। তখন সে বললো সে লাল বলকে প্রাধান্য দিয়েছে। সামনে টেস্ট দলের অংশ হয়ে এগিয়ে যেতে চায়। এরপর আমিও সিদ্ধান্ত নিলাম টেস্টকেই প্রাধান্য দিবো।’
ইংল্যান্ডের হয়ে এ পর্যন্ত ২ টেস্টের ৪ ইনিংসে মোট ৬ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। সাতটি ওয়ানডে খেলে নিয়েছেন ১৪ উইকেট। ১২টি টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের উইকেট ৭টি।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি