স্পোর্টসমেইল২৪
বল টেম্পারিংয়ের দায়ে এক বছরের জন্য নিজ দেশের ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃক নিষিদ্ধ রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। এমন নিষেধাজ্ঞা থেকে মূল্যবান শিক্ষা পেয়েছেন তিনি। কু-কর্মের পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে ক্ষমা চেয়েছিলেন ওয়ার্নার। বেশ কিছু দিন সব কিছু থেকে আড়ালে ছিলেন তিনি। তবে দ্বিতীয়বারের মতো জনসম্মুখে এলেন তিনি। বললেন, ‘এমন ঘটনায় মূলবান শিক্ষা আমি পেয়েছি। সেই সাথে মানুষের ভালোবাসা ও সমর্থন নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে।’
গত মার্চে কেপ টাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের সাথে জড়িত ছিলেন ওয়ার্নার। তরুণ ব্যাটসম্যান ক্যামেরন ব্যানক্রফটের দিয়ে বল টেম্পারিং করান ওয়ার্নার ও তৎকালীন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। এরপর নিজেদের কু-কীর্তির কথা সংবাদ সম্মলনে অকপটে স্বীকারও করেন তারা। ফলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) স্মিথ ও ওয়ার্নারকে এক বছরের জন্য এবং ব্যানক্রফটকে ৯ মাসের নিষিদ্ধ করে।
সবধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হবার পর মাঠের বাইরেই রয়েছে স্মিথ-ওয়ার্নার ও ব্যানক্রফট। সবাই পরিবারের সাথে সময় কাটাচ্ছেন। সম্প্রতি এক মাস যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করে গত পরশু দেশের ফিরেছেন স্মিথ। দেশে ফিরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বল-টেম্পারিং ও নিজের বর্তমান অবস্থার কথা জানান স্মিথ।
অধিনায়কের পথ অনুসরণ করে এবার জনসম্মুখে আসলেন ওয়ার্নার। নিজ দেশে পরিবারের সাথে সময় কাটানো ওয়ার্নার এনটি নিউজকে বলেন, ‘মাঝে মধ্যে আমাদের সমাজে এমন কিছু ঘটে যা মানুষের জন্য খারাপ কিছু হয়ে দেখা দেয় এবং সমর্থনের প্রয়োজন হয়। আমার মনে হয়, আমি নিজে এই সমর্থন থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পেয়েছি। কখনো কখনো আপনাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়, ভাবতে হয় এবং বিস্মিত হতে হয়। এ কারণে, মানুষ আপনাকে নিয়ে কতটা চিন্তা করে।’
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকায় পরিবার নিয়েই ব্যস্ত রয়েছেন ওয়ার্নার। স্ত্রী ক্যান্ডিস ও মেয়ে আইভি-ইন্ডিকে নিয়ে দারুন সময় পার করছেন তিনি জানান, ‘আমার মনে হয়, আমাদের বড় একটা ব্যাপার হলো রুটিনের মধ্যে থাকতে হয়। যেমন- ক্রিকেট, হোটেল, ব্যাগ গুছানো এবং বাড়িতে আসা। আমি ঐ রুটি মিস করছি। তবে এখন পরিবারের সাথে সময় কাটানোটা দারুন উপভোগ করছি।’
